আগরতলা।। রবিবার মহাকরণে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজস্ব দপ্তরের সচিব ব্রিজেশ পান্ডে অতি বৃষ্টির কারণে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার উদ্ভূত বন্যা পরিস্থিতির বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি জানান, এখন পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ৬০টি ত্রাণ শিবিরে ২৮০০টি পরিবারের ১০,৬০০ জন আশ্রয় নিয়েছেন। এরমধ্যে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ৪৮টি, খোয়াই জেলায় ৩টি, উনকোটি জেলায় ৩টি এবং উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ৬টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। উত্তর ত্রিপুরা, ধলাই, উনকোটি এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার কয়েকটি স্থানে গাছ ভেঙ্গে এবং ভূমিধসে রাস্তাঘাট সাময়ককালের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। এসডিআরএফ, বন দপ্তর, পি ডব্লিউ ডি এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা দ্রুত গাছ সরিয়ে রাস্তা মুক্ত করে। পশ্চিম জেলা এবং উনকোটি জেলায় ১৪টি উদ্ধারকারী দলকে বন্যা কবলিত দুর্গতদের উদ্ধার কাজে নিয়োজিত করা হয়।

এরমধ্যে পশ্চিম জেলায় ১১টি এবং ঊনকোটি জেলায় ৩টি উদ্ধারকারী দল নিয়োজিত রয়েছে। এনডিআরএফ-এর, এসডিআরএফ-এর ৩টি এবং আসাম রাইফেলস, সিভিল ডিফেন্স, আপদামিত্র এবং ভারত স্কাউট এবং গাইডসের স্বেচ্ছাসেবকগণ উদ্ধার কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে রাজস্ব সচিব জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে গোমতী, খোয়াই সিপাহীজলা এবং উত্তর জেলায় ৪৬টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ১২টি বাড়ি সম্পূর্ণভাবে এবং ৩৪টি বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আজ বিকাল ৫টা পর্যন্ত হাওড়া নদীর জলস্তর বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হয়েছে। তবে পরিবর্তী সময়ে জলে ক্রমশ নীচের দিকে নামার প্রবণতা দেখা গেছে। রাজ্য সরাকার সার্বিক পরিস্থিতির উপর প্রতিনিয়ত নজর রাখছে। রাজ্যবাসীকে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা এবং সরকারি নীতি নিদের্শিকা মেনে চলার পরামর্শ দেন রাজস্ব সচিব। সাংবাদিক সম্মেলনে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ড. বিশাল কুমার জানান, আগরতলা শহরে বৃষ্টির জল নিষ্কাশনের জন্য ১৭টি পাম্পকে ব্যবহার করা হয়েছে। গতকাল দু’ঘণ্টায় আগরতলা শহরে ১৭৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং জমা জল ২-৩ ঘন্টার মধ্যে নিষ্কাশন করা সম্ভব হয়েছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব অরুন কুমার রায়, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের অধিকর্তা জে ভি দোয়াতি এবং স্টেট প্রজেক্ট অফিসার (বিপর্যয় মোকাবিলা) শরৎ দাস।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *