আগরতলা।।ত্রিপুরায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উপলব্ধ রয়েছে। সেটাকে আরও কিভাবে উন্নত করে রোগীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করা যেতে পারে সে বিষয়ে রাজ্য সরকার এইমস’র সহযোগিতা চেয়েছে। এজিএমসি এবং জিবিপি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা ও পরিকাঠামোর আরও উন্নতিকল্পে এইমস রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করবে।

সোমবার এজিএমসি ও জিবিপি হাসপাতালের কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যে সফররত নয়াদিল্লিস্থিত অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এইমস)-এর অধিকর্তা প্রফেসর (ডা) এম শ্রীনিবাস এই সংবাদ জানান। উল্লেখ্য, গত ৭ জুন অধিকর্তা প্রফেসর (ডা.) এম শ্রীনিবাসের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের এক প্রতিনিধি দল রাজ্য সফরে আসেন।

রাজ্য সফরে এসে তারা মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহার সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে এজিএমসি এবং জিবিপি হাসপাতালে পরিষেবা এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে এইমস’র অধিকর্তা প্রফেসর (ডা.) এম শ্রীনিবাস জানান, মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহার অনুরোধে আমরা রাজ্য সফরে আসি। ত্রিপুরার স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সামনে তুলে ধরেন। মূলতঃ এজিএমসি ও জিবিপি হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন সহ স্বাস্থ্যশিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থাপনা, সুপার স্পেশালিটি পরিষেবার উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়। রাজ্য সফরকালে আমরা এজিএমসি ও জিবিপি হাসপাতালের সমস্ত বিভাগ সহ টিএমসি এবং আইজিএম হাসপাতাল পরিদর্শন করি। পরিদর্শনকালে আমরা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং রোগীদের সাথে মতবিনিময় করি। এ বিষয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করে দিল্লিতে জমা দেওয়া হবে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে কর্ম পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে। তিনি জানান, ত্রিপুরার চিকিৎসক, নার্স সহ ল্যাব টেকনেশিয়ানদের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানে আরও দক্ষ করে তুলতে এইমস’র মাধ্যমে আগামীদিনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে।

সাংবাদিক সম্মেলনে এইমস’র প্রতিনিধি দলের সদস্য ডা. রমেশ আগরওয়াল জানান, ত্রিপুরার স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে এইমস’র পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে রাজ্য সফর করা হয়। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সহ অন্যান্য ইতিবাচক দিকগুলি নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব সহ অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। ত্রিপুরায় শিশু মৃত্যুর হার জাতীয় গড়ের থেকেও অনেক কম যা রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য দিক। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী একজন চিকিৎসক হওয়ায় রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক দিক। এইমস আগামীদিনে ত্রিপুরার স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এইমস’র চিকিৎসক প্রতিনিধি দলের সদস্য ডা. লক্ষ্মীতেজ উন্ডাভাল্লি ও ডা. অরুণা কুমারী সহ স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. তপন মজুমদার জিবিপি হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ডা. শঙ্কর চক্রবর্তী, এজিএমসি’র অধ্যক্ষ প্রফেসর (ডা.) অনুপ সাহা প্রমুখ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *