আগরতলা: ভারতীয় পুলিশ বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনী শুধুমাত্র দেশের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা প্রদানের জন্য কাজ করছে না, এর পাশাপাশি দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার জন্যও কাজ করছে তারা।
আজ আগরতলার এডি নগরস্থিত মনোরঞ্জন দেববর্মা স্মৃতি স্টেডিয়ামে আয়োজিত পুলিশ স্মৃতি দিবস উদযাপনে অংশগ্রহণ করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ২১ অক্টোবর আমরা পুলিশ স্মৃতি দিবস পালন করি। সারা দেশও আজ এই দিনটি পালন করছে। এই দিনটিতে আমরা সেই বীর শহীদদের স্মরণ করছি, যারা দেশের সেবায় এবং জনগণকে রক্ষা করার জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছেন। ভারতে সশস্ত্র বাহিনী, সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও পুলিশ দেশের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য কাজ করেছে এবং আগামী দিনেও তারা তাদের দক্ষতা ও সামর্থ্য দিয়ে সেটা অব্যাহত রাখবে। শুধু তাই নয়, তারা দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার জন্যও কাজ করছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে ১৯৫৯ সালের ২১ অক্টোবর, লাদাখে ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মীদের টহল দেওয়ার সময় চিনের বাহিনী আক্রমণ করেছিল এবং সেই আক্রমণে ১০ জন নিরাপত্তা জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন। এরপর ১৯৬১ সাল থেকে ভারত সরকার ২১ অক্টোবর দিনটি পুলিশ স্মৃতি দিবস হিসেবে পালন করে। ত্রিপুরায়ও আমরা সেটা পালন করছি।
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ২০২৪ থেকে ৩১ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত, প্রায় ১৯১ জন পুলিশ এবং নিরাপত্তা কর্মী শহীদ হয়েছেন। এরমধ্যে ত্রিপুরা থেকে দুজন হচ্ছেন – ত্রিপুরা পুলিশের কনস্টেবল ডেভিড ডার্লং এবং ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের ৮ম ব্যাটেলিয়নের জওয়ান মিলন দেববর্মা। ২০২৪ এর ১২ অক্টোবর তারিখে খেদাছড়ায় ডেভিডের গাড়ি গভীর খাদে পড়ে যায় এবং এতে কর্তব্যরত অবস্থায় শহীদ হন তিনি।
এরপর ২০২৫ সালের ৩১ জুলাই কৈলাশহরে একটি দুর্ঘটনায় কর্তব্যরত অবস্থায় মারা যানজওয়ান মিলন দেববর্মা। আমি তাদের দুজনকেই আমার গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অনুরাগ এবং অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকগণ।
