আগরতলা, ১০ ডিসেম্বর: প্রতিভা ও সৃজনশীলতার নিরিখে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় কোনও অংশে কম নয় রাজ্যের ছেলেমেয়েরা। জাতীয় স্তরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা উল্লেখযোগ্য স্থান লাভ করে ত্রিপুরার মুখ উজ্জ্বল করেছে। রাজ্যের ছেলেমেয়েদের প্রতিভা বিকাশে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে সরকার।

                          
আজ আগরতলার উমাকান্ত একাডেমি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ত্রিপুরা সমগ্র শিক্ষার উদ্যোগে আয়োজিত রাজ্যভিত্তিক আন্তঃ বিদ্যালয় ব্যান্ড প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। সমগ্র শিক্ষা, ত্রিপুরার উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

                          উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ব্যান্ড আমাদের খেলাধুলার অঙ্গ। এর মাধ্যমে ছেলেমেয়েদের মধ্যে শৃঙ্খলা, ধৈর্য্য এবং দলগত সহযোগিতা বৃদ্ধি পায়। এই গুণগুলি তাদের শুধু ভালো শিল্পী হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করে না, তাদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার পাশাপাশি তাদের জীবনকে সফল করে তোলে। ভবিষ্যত জীবনে চলার পথে এগিয়ে যেতে এই সৃজনশীল গুণগুলি হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের বড় শক্তি। এগুলি তাদের ভবিষ্যতে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে শেখায়।

                      
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই ব্যান্ড প্রতিযোগিতাটি শুধুমাত্র একটি প্রতিযোগিতাই নয়, এটি শৃঙ্খলা, একতা, দলগত কাজ এবং সৃজনশীলতার এক অনবদ্য নিদর্শন। ছেলেমেয়েদের উৎসাহ, তাদের সাজসজ্জা সব মিলিয়ে সাংস্কৃতিক ও দলগত কার্যক্রমে ত্রিপুরার মান উঁচুতে তুলেছে। 

প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পাওয়া না পাওয়া বড় বিষয় নয়, বরং এই ধরনের মঞ্চে যোগদান করা বড় উপলব্ধি বলে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এই ব্যান্ড প্রতিযোগিতা ২০১৭ সাল থেকে আয়োজিত হচ্ছে। ত্রিপুরায় ২০১৯ সাল থেকে এই ব্যান্ড প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, সংগীত, নাটক, ব্যান্ড ইত্যাদি সৃজনশীল কাজে বেশি করে যুক্ত হলে সমাজ আরও এগিয়ে যাবে বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন।

                            অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, মধ্যশিক্ষা অধিকর্তা এন সি শর্মা, ত্রিপুরা সমগ্র শিক্ষার স্টেট প্রজেক্ট ডিরেক্টর রাজীব দত্ত, এসসিইআরটি-র অধিকর্তা এল ডার্লং সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ। রাজ্যভিত্তিক এই ব্যান্ড প্রতিযোগিতায় ৭টি স্কুল থেকে ১০টি দল অংশগ্রহণ করে। রাজ্যভিত্তিক এই ব্যান্ড প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত সেরা দলটি রাঁচিতে অনুষ্ঠিত জোনালভিত্তিক ব্যান্ড প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *