আগরতলা: স্কাউটস এন্ড গাইডের সদস্যরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং সমাজে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ। আজ আগরতলার পূর্বাশা কমপ্লেক্সস্থিত আরবান হাটে আয়োজিত প্রথম জাতীয় সংহতি শিবির ২০২৫ – এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত কার্যক্রমের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা পুরনো স্মৃতি স্মরণ করে বলেন যে তাঁর স্কুলের দিনগুলিতে তিনি স্কাউট এন্ড গাইডের পরিবর্তে ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পস (এনসিসি) বেছে নিয়েছিলেন। ১৯৭০ সালে জুনিয়র ডিভিশন বয়েজ ক্যাম্পে তাঁকে ত্রিপুরা রাজ্যের সেরা ও স্মার্ট ক্যাডেট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। সেটা আমি এখনো মনে করতে পারি। আর সেখানে থাকলে দেশপ্রেম এবং ইতিবাচক চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটবে। যেটা আমি এনসিসি থেকে অর্জন করেছি এবং সম্ভবত আপনারাও সেটা অর্জন করতে পারবেন।

প্রায় ১৮টি রাজ্য এখানে অংশগ্রহণ করেছে এবং আমি অবশ্যই আয়োজক এবং অংশগ্রহণকারী দলগুলিকে অভিনন্দন জানাই। সারা দেশের ১৮টি রাজ্যের ৩৬৮ জন স্কাউটস এন্ড গাইড, ৫০ জন রোভার্স এন্ড রেঞ্জারস এবং অফিসিয়ালরা এই শিবিরে যোগদান করেছেন। এবছরের থিম হচ্ছে এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই শিবির আজ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। এই শিবির শুধু একটি ইভেন্ট নয়, এটা ভারতের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের উদযাপন। বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিরা এখানে এসেছেন এবং আমি লক্ষ্য করছি যে এই বৈচিত্র্য ত্রিপুরায় প্রতিফলিত হচ্ছে। স্কাউটদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রস্তুত থাকা। সেটা আপনারা সকলেই জানেন। তবে গাইডদের জন্য আরও একটি সম্পর্কিত মূলমন্ত্র রয়েছে – সার্ভিস বিফোর সেলফ – যা এই ক্ষেত্রের গুরুত্বকে তুলে ধরে।

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময়ে স্কাউট এন্ড গাইডরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। যেমন – বন্যা, ভূমিকম্প, দুর্ঘটনা ইত্যাদি। সমাজে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা প্রাথমিক চিকিৎসা, জরুরী সেবা, দুর্যোগ প্রস্তুতি, যোগাযোগ, টিম ম্যানেজমেন্ট সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরায় স্কাউটস এন্ড গাইডের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন। বর্তমানে প্রায় ২১৪টি উচ্চ এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্কাউট এন্ড গাইড ইউনিট রয়েছে, যেখানে প্রায় ৬,০৭০ এবং ২১৪ ইউনিট লিডার রয়েছেন। বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে ৫০টি নতুন ইউনিট খোলার প্রস্তাব রয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৩৬৫ রোভার এবং রেঞ্জারস রয়েছেন। স্কাউটস এন্ড গাইডরা দেশে যুব বিকাশের স্তম্ভ হিসেবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়, পশ্চিম জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিত শীল, বিধায়ক স্বপ্না দাস পাল, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা এল ডার্লং, নয়াদিল্লিস্থিত ভারত স্কাউট এন্ড গাইডসের সহ অধিকর্তা অমলেন্দু শর্মা সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিগণ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *