আগরতলা: মানুষ বুঝতে পেরেছেন যে ভারতীয় জনতা পার্টি ছাড়া কেউ রাজ্য বা দেশের উন্নয়ন করতে পারবে না। কারণ সিপিআই (এম) এবং কংগ্রেস শুধুমাত্র ভোট ব্যাংকের রাজনীতির জন্য জনজাতি অংশের মানুষকে ব্যবহার করেছে। নানাভাবে তাদের ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করেছে।
আজ গোমতী জেলার কিল্লা বাজারে ভারতীয় জনতা পার্টির বাগমা মন্ডলের উদ্যোগে আয়োজিত এক যোগদান সভায় অংশ নিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এদিন এই সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ২০০ পরিবারের ৬১০ জন ভোটার বিভিন্ন দল ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টির পতাকা তলে সামিল হন। মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব তাদের স্বাগত জানান।
সভায় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা ভারতীয় জনতা পার্টিতে নতুন সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে বলেন মানুষ বুঝতে পেরেছে যে ভারতীয় জনতা পার্টি ছাড়া রাজ্য ও দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।আজ যারা এখানে বিজেপিতে যোগদান করেছেন আমি তাদের সকলকে স্বাগত জানাই। দু’দিন আগেও আমি মন কি বাত কার্যক্রমে যোগ দিতে খোয়াইয়ের আশারামবাড়ী গিয়েছিলাম, যা খুবই একটি জনপ্রিয় কার্যক্রম এবং কোনও নেতা এধরণের কার্যক্রম কখনও করেন না। এটি একটি সম্পূর্ণ অ-রাজনৈতিক কর্মসূচি। কিন্তু গত মাসে এই জায়গায় যখন আমাদের কার্যকর্তাগণ মন কি বাত শুনছিলেন তখন তাদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। আমরা দেশের জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করতে প্রস্তুত এবং যখনই আমাদের কার্যকর্তাগণ আক্রান্ত হন, তখন পার্টি সবসময় তাদের সাথে থাকে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি কখনো চায় না খুন, সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষনের মতো ঘটনা, যেটা সিপিএম – কংগ্রেসের দীর্ঘ ৩৫ বছরের শাসনে সংঘটিত হয়েছে। বিজেপি এ ধরণের নোংরা রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। মানুষ সেটা প্রত্যক্ষ করেছে। তারা শুধু জনজাতি অংশের মানুষকে ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করেছিল। অথচ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবসময় বলছেন যে আমরা সবার জন্য উন্নয়ন চাই। আমরা জাতি এবং জনজাতির মধ্যে ঐক্য নিয়ে থাকতে চাই। সিপিএমের সময়ে সন্ত্রাসবাদের জন্ম হয়েছে, আর আমাদের সরকারের সময়ে সন্ত্রাসবাদ মুক্ত হয়েছে। আগে উত্তর পূর্বাঞ্চলের পরিস্থিতিও ভালো ছিল না। কিন্তু ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি দায়িত্ব গ্রহণের পর সবকিছু পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর -পূর্বের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। ত্রিপুরায় এখন শান্তি বিরাজ করছে এবং আমাদের হিরা মডেল দেওয়া হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থারও প্রভূত উন্নতি হয়েছে রাজ্যে।
এর পাশাপাশি ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়নে অবদানের জন্য মহারাজা বীর বিক্রমকে যথাযথ সম্মান না দেওয়ার প্রশ্নে সিপিএমের তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা ত্রিপুরার মানিক্য রাজবংশের প্রতি যথাযথ সম্মান দিয়েছি। মহারাজা বীর বিক্রম ত্রিপুরার কল্যাণ ও বিকাশের জন্য কাজ করেছেন। স্কুল, কলেজ, বাজার এবং অন্যান্য অনেক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু সিপিএম তাদের কোন সম্মান দেয়নি। আর ২০১৪ সাল থেকে জনজাতি অংশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জনজাতি সম্প্রদায়ের উন্নয়ন এবং তাদের কিভাবে সম্মান দিতে হয় সেটা জানে ভারতীয় জনতা পার্টি। রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে সকলের ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রয়োজন রয়েছে।
সভায় মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক বিপিন দেববর্মা, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া, বাগমা মন্ডল সভাপতি অমর জমাতিয়া সহ ভাজপার বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব।