আগরতলা: মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা আজ বলেছেন প্রত্যেককে অবশ্যই পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কাজ করতে হবে, যাতে তারা আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচতে পারে, কারণ ৩৫ বছরের সিপিএম শাসন রাজ্যকে ধ্বংস করেছিল।

আজ সোনামুড়ার নয়া মহকুমা শাসক কার্যালয় থেকে সিপাহীজলা ও পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার অধীনে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর (ভার্চুয়ালি) স্থাপনের পর একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা। অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের অবশ্যই আগামী প্রজন্মের জন্য কাজ করতে হবে, যাতে তারা আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচতে পারে। দীর্ঘ ৩৫ বছরের শাসন সিপাহীজলা জেলা এবং সমগ্র রাজ্যকে ধ্বংস করে দিয়েছে এবং এই সোনামুড়া মহকুমা থেকে তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী কখনোই উন্নয়নের জন্য কাজ করেননি। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আশীর্বাদে আমরা সিপাহীজলা জেলা এবং সমগ্র রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করছি।

মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা জানান, ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ১৮টি প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭টি স্বাস্থ্য খাতের জন্য, ৫টি শিক্ষা খাতের জন্য, ৫টি রাজস্ব দপ্তরের জন্য এবং একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যদি আমরা পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ করতে না পারি, আমরা রাজ্যের উন্নয়ন করতে পারবো না এবং সেখানে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ সম্ভব হবে না।

সেজন্য আমরা ২০২৫-২৬-এ পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ৭,০০০ কোটি টাকা রেখেছি। ২০১৮ সালের আগে আগের সরকার যেভাবে মিথ্যা বলেছিল, আমরা এখন সেটা উপলব্ধি করছি। এখন আমরা রাজ্যে উন্নয়নের ঢেউ প্রত্যক্ষ করছি। আরো উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আমরা অনেক স্কিম এবং প্রকল্প চালু করছি। ডাঃ সাহা আরও বলেন যে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে জিএসডিপি এবং মাথাপিছু আয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে ত্রিপুরা।

আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে রাজ্যে। আমরা সবকা সাথ সবকা বিকাশের সাথে একটি নতুন ত্রিপুরা গড়তে চাই। আমাদের অবশ্যই সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে, যা ত্রিপুরার অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন। আমরা আমার সরকার, সিএম হেল্পলাইন, মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু ইত্যাদি চালু করেছি, যাতে মানুষ সমস্যার সম্মুখীন না হয় এবং আমরা সমস্যাগুলি তাড়াতাড়ি সমাধান করতে পারি।

আগের সরকার সমস্যা তৈরি করে ক্ষমতায় থাকত, কিন্তু আমরা সমস্যা সমাধান করি। ২০১৮ থেকে এখন পর্যন্ত আমরা ২০,১৮৪টি সরকারি চাকরি প্রদান করেছি এবং কেউ আমাদের চ্যালেঞ্জ করতে পারে নি। আমরা জানি কীভাবে স্বচ্ছভাবে চাকরি প্রদান করতে হয়। ডাঃ সাহা আরও জানান যে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ত্রিপুরায় তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী কিশোর বর্মণ, সমবায় মন্ত্রী শুক্লা চরণ নোয়াতিয়া, বিধায়ক তফাজ্জল হোসেন, বিধায়ক বিন্দু দেবনাথ, বিধায়ক অন্তরা সরকার দেব, সিপাহীজলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয় দাস দত্ত, সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক ড. সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল এবং পুলিশ সুপার বিজয় দেববর্মা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *