আগরতলা ।। অবশেষে ত্রিপুরার বিভিন্ন এলাকাবাসীর চাপে, ক্ষমার রাস্তা থেকে সরে এসে প্রদীপ চক্রবর্তী বাধ্য হলেন ২০০০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিশাল সমাজদ্রোহীদের বিরুদ্ধে এফ আই আর করতে।
গতকাল রাত দশটায় এনসিসি থানায় অরাজনৈতিক জনপ্রতিনিধি ২৫ বছরের দুর্জয় নগরের যে মাফিয়া চক্র সক্রিয় ছিল, তাদের বিরুদ্ধে এনসিসি থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে ।
এই খবর শুনে দুর্জয়নগর সহ সারা বড়জলা কেন্দ্র এবং সারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে দল-মত নির্বিশেষে সরকারের কাছে প্রশাসনের কাছে আশা করছেন, এই মামলায় প্রকৃত তদন্ত করে ত্রিপুরা রাজ্যের মাফিয়া চক্রের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির যেন ব্যবস্থা করা হয়।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রশাসনকে অনুরোধ করেছেন, অভিযুক্ত ১৫ জনের মোবাইল যেন ট্র্যাক করা হয়। এলাকাবাসী আরো বলেন, গত বাইশে ডিসেম্বর রাতের বেলায় ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য প্রদীপ চক্রবর্তীকে ডেকে পাঠান। প্রদীপ চক্রবর্তীর কাছ থেকে তিনি বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেন।
প্রদীপ চক্রবর্তী বলেন “বিজেপির দলীয় পতাকা, চিহ্ন দিয়ে আমার বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালিয়েছিল, আমি যদি বিজেপি করে আপনাদেরকে জানাতাম, সেই সময় অন্যান্য রাজনৈতিক দল বা কর্মী সমর্থকরা আমার বিরুদ্ধে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করতেন। তাই আমি আইন মোতাবেক, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দল মত নির্বিশেষে এলাকাবাসীর সাহায্য চেয়েছি।”
এদিকে প্রদীপ বাবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দুর্জয়নগর সহ বড়জলা কেন্দ্রে সিপিআইএম কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ, এবং সিপিআইএম, কংগ্রেস, বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা, ভোটাররা আমাকে নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছেন।
প্রদীপ চক্রবর্তী আরো বলেন, যে আমি কৃতজ্ঞ ত্রিপুরা সরকার, সব রাজনৈতিক দল, মিডিয়া, জেলা প্রশাসনের কাছে। কারণ এই অপপ্রচারের পক্ষ হয়ে আমার বিরুদ্ধে কেউ সাড়া দেয়নি।
