আগরতলা : উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত দায়িত্ব নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে রবিবার আগরতলার মাস্টারপাড়ায় গীতা মন্দির প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো এক ব্যতিক্রমী চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। ‘
নর্থ ইস্ট ইন্টিগ্রেশন র্যালি ২০২৬’-এর সঙ্গে যুক্ত বৃহত্তর জলবায়ু সচেতনতা অভিযানের অংশ হিসেবেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও সবুজ কর্ম’—এই থিমের উপর ভিত্তি করে আয়োজিত প্রতিযোগিতাটি দুর্যোগ সচেতনতা সোসাইটির ব্যানারে ত্রিপুরা হ্যাম রেডিও ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই ক্লাবটি মূলত হ্যাম রেডিও অপারেটরদের নিয়ে গঠিত, যারা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চলা এই প্রতিযোগিতায় শিশু ও কিশোর শিল্পীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।
তাদের তুলির আঁচড়ে উঠে আসে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ প্রভাব, পরিবেশের ক্রমাবনত অবস্থা, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার আহ্বান এবং দৈনন্দিন জীবনে সবুজ অভ্যাস গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা। রঙ, রেখা ও কল্পনার মাধ্যমে প্রতিযোগীরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উদ্বেগ ও প্রত্যাশার স্পষ্ট প্রতিফলন ঘটায়।
আয়োজকরা জানান, নর্থ ইস্ট ইন্টিগ্রেশন র্যালি ২০২৬ শুধুমাত্র একটি ভ্রমণ বা সংযোগমূলক কর্মসূচি নয়, বরং এটি উত্তর-পূর্বাঞ্চল জুড়ে শান্তি, উন্নয়ন ও পরিবেশ সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার একটি সামাজিক আন্দোলন। শিল্প ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে সচেতনতা গড়ে তোলাই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার ফলাফলে গ্রুপ ‘এ’-তে প্রথম স্থান অধিকার করে মেঘরাজ দাস, দ্বিতীয় অদিতি সাহা এবং তৃতীয় হন আয়ুষ মজুমদার। গ্রুপ ‘বি’-তে প্রথম স্থান অর্জন করে ঈশানী শীল, দ্বিতীয় অক্ষিতা ঘোষ এবং তৃতীয় হন স্নিগ্ধা দাস। আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও শৈল্পিক মানের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতেও আগরতলা ও সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মসূচি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
এই ধরনের উদ্যোগ প্রমাণ করে, জলবায়ু সংকটের মতো বৈশ্বিক সমস্যার মোকাবিলায় তৃণমূল স্তর থেকেই সচেতনতা গড়ে তোলা এখন সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দাবি।
