ত্রিপুরা: সানরাইজ স্বাস্থ্য প্রদেশ ২০২৫ সালের পেটুক সমাবেশ শুরুর আগে তাদের সিএসআর উদ্যোগ উমাঙ্গ-এর অধীনে আজ আগরতলার ১০০ জনেরও বেশি স্ট্রীট ফুড বিক্রেতার জন্য সফলভাবে একটি ফোস্ট্যাক (খাদ্য নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেশন) কর্মসূচি পরিচালনা করেছে।

এই কর্মসূচিটি ব্র্যান্ডের বর্তমান সিএসআর বা কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্বের একটি অংশ, যার লক্ষ্য হল স্ট্রীট ফুড বিক্রেতাদের নিরাপদ ও যথাযথভাবে খাদ্য-পরিচালনার পদ্ধতি গ্রহণে সাহায্য করার মাধ্যমে একদম নিম্ন স্তরে পৌঁছে খাদ্য সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলনে উদ্যোগী করে তোলা।

একদিনের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পৌর নিগমের মাননীয় মেয়র শ্রী দীপক মজুমদার এবং ১৬ বিশালগড়ের মাননীয় বিধায়ক শ্রী সুশান্ত দেব। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ত্রিপুরায় জনপ্রিয় খাদ্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব পেটুক সমাবেশ ২০২৫-এর আগে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়, যার মূল লক্ষ্য উৎসবে খাবারের স্টল দেবেন এমন বিক্রেতাদের সচেতন করে তোলা।

অংশগ্রহণকারী বিক্রেতাদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সানরাইজ এই দায়িত্ব নিয়েছে যে উৎসবে পরিবেশিত খাবার যেন স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তার মান মেনে তৈরি করা হয়। এই আলোচনা ভিত্তিক শিবিরটি খাদ্য নিরাপত্তার নির্দেশিকাকে বাস্তবায়িত করতে ও দৈনন্দিন কার্যকলাপে অন্তর্ভুক্ত করতে সাহায্য করেছে, যা বিক্রেতা এবং ক্যাটারাররা শুধু উৎসবের সময়ই নয়, অন্য সময়েও তাদের স্টলে প্রয়োগ করতে পারবেন।এফএসএসএআই-এর ফোস্ট্যাক কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, প্রশিক্ষণের মূল সূচীতে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা, স্যানিটেশন, নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং নিয়ন্ত্রকের সম্মতি অর্জনের মতো বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত ছিল।

শিবিরে লাইভ প্রদর্শনী, খাদ্য নিরাপত্তা সামগ্রী বিতরণ এবং খাদ্য তৈরির স্থানে প্রয়োগ করা উচিত এমন বিষয়গুলি শেখার জন্য একদম ফিল্ডে গিয়ে নিরীক্ষারও ব্যবস্থা করা হয়।আগরতলা পৌর কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র শ্রী দীপক মজুমদার বলেন, “স্ট্রীট ফুড বিক্রেতারা আগরতলার খাদ্য সংস্কৃতি এবং স্থানীয় অর্থনীতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ফোস্ট্যাক প্রশিক্ষণের মতো এই ধরনের কর্মসূচি বিক্রেতাদের উন্নত স্বাস্থ্যবিধি এবং সুরক্ষা পদ্ধতি গ্রহণে সহায়তা করার একটি দুর্দান্ত উপায়, যা বিক্রেতা এবং ভোক্তা উভয়ের উপকরা করে থাকে।

বড় জনসমাগমের অনুষ্ঠানগুলোকে নিরাপদ ও আরও সুসংগঠিত করার জন্য এই ধরনের সহযোগিতা অপরিহার্য।”শ্রী সুশান্ত দেব, মাননীয় বিধায়ক, ১৬ বিশালগড় বলেন, “পেটুক সমাবেশ ত্রিপুরার সমৃদ্ধ খাদ্যসংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক প্রাণবন্ত উদ্‌যাপন। সানরাইজ উমাং-এর মতো উদ্যোগ খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করে স্ট্রিট ফুড ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

উৎসবের আগে বিক্রেতাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া জনস্বাস্থ্যের পক্ষে একটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ।”এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইটিসি স্পাইসেসের বিজনেস হেড শ্রী পীযূষ মিশ্র বলেন, “বড় সামাজিক স্তরের খাদ্য উৎসবগুলি মানুষ, স্বাদ এবং ঐতিহ্যকে একত্রিত করে, এবং সবসময় এই অভিজ্ঞতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা উচিত খাদ্য নিরাপত্তা। ফোস্ট্যাক বেসিক ক্যাটারিং প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উমাঙ্গ-এর মাধ্যমে, আমরা খাবার বিক্রেতাদের সঠিক প্রশিক্ষণ, দক্ষতা এবং শংসাপত্র প্রদানের মাধ্যমে একদম নিম্ন স্তর থেকে নিরাপত্তা পদ্ধতিকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, বিক্রেতা এবং ক্যাটারারদের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতামূলক এই কর্মসূচিটি দৈনন্দিন অনুশীলনে দীর্ঘমেয়াদী ও অর্থপূর্ণ উন্নতি সাধনের কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে।

সামাজিক স্তরে নেওয়া পদক্ষেপের বাইরে গিয়েও, উমাঙ্গ স্ট্রীট ফুড বিক্রেতা, হকার, বাবুর্চি এবং ক্যাটারারদের কাজে মনোযোগ দেয় এবং ঘরোয়া ছাড়া বাইরের যেকোনও খাবারের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা পদ্ধতিকে শক্তিশালী করতে বিশেষ ফোস্ট্যাক প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। এই উদ্যোগে সরাসরি বিক্রেতাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাদের উদ্বেগ বা সমস্যার কারণগুলির সমাধান করা হয় এবং এফএসএসএআই নির্দেশিকা অনুসারে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

অংশগ্রহণকারীরা প্রশিক্ষণের পরে মূল্যায়নের মুখোমুখি হন, এবং সফল প্রার্থীরা ফোস্ট্যাক শংসাপত্র পান, যা পেশাদারি ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর পাশাপাশি ভোক্তাদের মনে বিক্রেতাদের প্রতি আস্থার জন্ম দেয়।

অন্যান্য শহরে সফল বাস্তবায়নের পর, আগরতলায় এই কার্যক্রমের সূচনা সানরাইজ স্বাস্থ্য প্রদেশের খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষা, জনস্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে স্থিতিশীল জীবিকা উন্নয়নের প্রতি কোম্পানির প্রতিশ্রুতি রক্ষার ক্ষেত্রে আরেকটি মাইলফলক অর্জন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *