আগরতলা : আগরতলা শহরকে যানজট-মুক্ত রাখার লক্ষ্যেই নাগিছড়া ফিশ ট্রানশিপমেন্ট ইয়ার্ডকে আরও সক্রিয় ও সুশৃঙ্খল করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে পুর নিগম।
আর সেই দিকটি সামনে রেখে বুধবার সকালে এই ইয়ার্ডের সামগ্রিক পরিকাঠামো, কার্যপদ্ধতি ও সমস্যাগুলি খতিয়ে দেখতে হঠাৎ সফরে যান আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পুর নিগমের একাধিক আধিকারিকের একটি বিশেষ টিম।
এদিন ইয়ার্ডের অব্যবস্থাপনা ও সমস্যা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। পরিদর্শন চলাকালীন মেয়র বিভিন্ন জায়গায় থেমে কর্মরত শ্রমিক, ট্রাক চালক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। লরিগুলোর প্রবেশ পথ, লোড-আনলোডিং জোন, বরফ সংরক্ষণ ব্যবস্থা, বর্জ্য অপসারণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক বিষয় খতিয়ে দেখেন। ইয়ার্ডের কিছু জায়গায় ভাঙাচোরা রাস্তা, বস্তাবাহী গাড়ির অব্যবস্থাপনা ও যথাযথ আলো-ব্যবস্থার অভাব নিয়ে কর্মীদের কাছেই অভিযোগ জমা পড়ে।
মেয়র এসব সমস্যা নোট করে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দেন। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, “আগরতলা শহরকে যানজটমুক্ত রাখাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। প্রতিদিন বহিঃরাজ্য থেকে বহু মাছবাহী লরি সরাসরি শহরের বাজার অঞ্চলে ঢুকে পড়ায় রাস্তায় বাড়তি চাপ তৈরি হয়।
সেই সমস্যা সমাধান করতেই নাগিছড়া ফিশ ট্রানশিপমেন্ট ইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে।” “এখন থেকে সমস্ত বড় মাছবাহী লরি প্রথমে এই ইয়ার্ডে এসে মাছ নামাবে। এরপর সেখান থেকে ছোট গাড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন বাজারে মাছ পৌঁছে দেওয়া হবে। এতে শহরের ভিতরে লরির চলাচল কমবে এবং যানজট উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, কিছু মৌলিক সুবিধা উন্নত হলে ইয়ার্ডটি আরও বেশি কার্যকরী হবে। তাঁদের অভিযোগ ও পরামর্শও শোনেন মেয়র। তিনি বলেন, “এই ইয়ার্ডকে আধুনিক ও সুবিধাজনক করতে যে যা প্রয়োজন, সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু হবে।
আগরতলার বাড়তে থাকা জনঘনত্ব ও যান চলাচলের চাপ বিবেচনায় নিয়ে পুর নিগমের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয়রা। প্রশাসনের ধারণা, ইয়ার্ডটি পূর্ণ সক্ষমতায় কাজ শুরু করলে শহরের প্রধান বাজার এলাকার যানজট অনেকটাই কমে যাবে।
