আগরতলা:দুর্ঘটনায় নিহত ইন্টান চিকিৎসক সপ্তর্ষি দাসের বাড়িতে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী।রাজধানীর রামনগরের ডাক্তারি পড়ুয়া সপ্তর্ষি দাস সহ মোট চারজন এম বি বি এস ছাত্র উত্তর প্রদেশের আমরোহা জেলায় দিল্লি লক্ষ্নৌ জাতীয় সড়কে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়।

প্রায় ১১০ ঘন্টা পর সোমবার সকালে যখন ফ্রিজার এম্বুলেন্সে করে রামনগর ১ নং রোডের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত এল আই সি আধিকারিক সুশান্ত শেখর দাস এর বাড়িতে পৌঁছয় তখন ভিড়ে ক গিজগিজ করছিল গোটা রাস্তা। উকি মেরে সবাই যেন চাইছিল শেষবারের মতো হলেও মুখটা তো অন্তত দেখি পাড়ার ছেলে সপ্তর্ষির।

মঙ্গলবার সপ্তর্ষি দাসের বাড়িতে গেলেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী সহ অন্যান্য সিপিআইএম নেতৃত্বরা। জিতেন্দ্র চৌধুরী সপ্তর্ষীর মা-বাবার সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদেরকে গভীর সমবেদনা জানিয়ে সান্ত্বনা দেন। পরবর্তী সময়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী জানান,একটা তরতাজা যুবক পথ দুর্ঘটনায় অকালে পৃথিবী থেকে চলে গেল। এই ক্ষতি শুধু সপ্তর্ষির পরিবারের জন্য নয়।গোটা সমাজের জন্য একটা বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল। এই সময়ে আমরা তার শোকাহত পিতা-মাতার পাশে রয়েছি।এই শূন্যতা একটা অপূরণীয় শূন্যতা। তা পূরণ হবার নয়।এই কথা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই।

তার পিতামাতা সপ্তর্ষির স্মৃতিকে আকড়ে ধরে মন কে শক্ত করে তারা যাতে সমাজে আগের মতো স্বাভাবিকভাবে চলতে পারেন সেই ইচ্ছাশক্তি তাদের আসুক এটা আমি কামনা করছি। পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী সপ্তর্ষির বিদেহী আত্মার সদগতি কামনা করেন। ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার।

সেই অনুযায়ী রবি শংকর বিদ্যা মন্দির থেকে কৃতিত্বের সাথে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ২০২০ সালে উত্তর প্রদেশের ভেঙ্কেটেশ্বরা মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস পড়তে যায় ছেলে। কথা দিয়েছিল রাজ্যে এসে মানুষের সবাই নিয়োজিত থাকবে সপ্তর্ষি। হাসিমুখে সবার সাথে মেলামেশাটাও তার স্বভাব সিদ্ধ ছিল। কিন্তু এভাবে তাকে হারাতে হবে ভাবিনি কেউই।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *