আগরতলা।।১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা বন্ধের কোনো প্রভাব পরিলক্ষিত হয়নি রাজ্যে। যানবাহন চলাচল করায় ও দোকানপাট খোলা থাকায় বিভিন্ন জায়গায় উল্লাস করেন বিজেপি কর্মীরা। তবে দিনভর বৃষ্টির দরুন কিছুটা প্রভাব পড়ে জনজীবনে।

দেশব্যাপী ধর্মঘটে ত্রিপুরায় কোন প্রভাব পড়েনি। এই দাবি ধর্মঘটের বিরোধিতা করে রাস্তায় নামা বিজেপির নেতা কর্মীদের। দেশের ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এবং কৃষক ও গ্রামীণ শ্রমিক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ বুধবার দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলো। রাজ্যে দেখা যায় বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাজার হাট, দোকানপাট খুলতে শুরু করে। যানবাহনও চলাচলও ছিলো স্বাভাবিক। এই ধর্মঘট ঘিরে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই।

আগরতলা সহ গোটা রাজ্যে পুলিশ, টি এস আর এবং আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন ছিলো। ট্রেড ইউনিয়ন গুলির দাবি, শ্রম কোড শ্রমিকদের অধিকার খর্ব করেছে এবং শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছে। দেশের সরকারি সংস্থার বেসরকারিকরণ, আউটসোর্সিং বৃদ্ধি এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রসার ঘটানো হয়েছে। এইগুলি বাতিলের জন্যই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলো ট্রেড ইউনিয়ন এবং যৌথ মঞ্চ। বাস্তবে দেখা গেছে বামেরা ধর্মঘটের সমর্থনে প্রচারে নামলেও বুধবার ধর্মঘটের দিন কোন কর্মসূচি ছিলো না। ধর্মঘটের সমর্থনে তাঁদেরকে পিকেটিং করতেও দেখা যায়নি। উল্টো দিকে ধর্মঘটের বিরুদ্ধে মাঠে নামে শাসকদল বিজেপি।

দলীয় কর্মী সমর্থকরা আগরতলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ধর্মঘটের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে । দোকানপাট খোলা থাকায় উল্লসিত বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। তাদের সঙ্গে প্রদেশ বিজেপির সহ সভানেত্রী পাপিয়া দত্তকে দেখা যায়। এই ধর্মঘট ডাকায় বামেদের তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপি নেতৃত্ব।

এদিন রাজধানীর বিভিন্ন বাজারগুলিতে দেখা যায় প্রায় সব দোকানই খোলা। বেচা কেনা সবই চলছে। একই অবস্থা ছিল রাস্তা ঘাটের। যান বাহন সবই চলেছে। স্কুল, কলেজ, ব্যাঙ্ক, অফিস, সর্বত্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক ভাবে চলেছে। তবে দিনভর বৃষ্টির দরুন রাস্তাঘাটে যানবাহনের সংখ্যা ও যাত্রীদের সংখ্যা কিছুটা কম ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *