আগরতলা:প্রদেশ কংগ্রেসের উদ্যোগে সংসদে পেশ করা কৃষক ও জনস্বার্থ বিরোধী প্রস্তাবিত খসড়া বীজ বিল ও বিদ্যুৎ বিল বাতিলের প্রতিবাদে ঐক্যবদ্ধ গণ আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সোমবার আগরতলা শহরে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন তাদের কংগ্রেস সভাপতি আশিস কুমার সাহা সহ প্রদেশ কংগ্রেস এর বিভিন্ন গণসংগঠনের নেতৃত্ব। এদিন প্রদেশ কংগ্রেস ভবন থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে ওরিয়েন্ট চৌমুহনীতে প্রতিবাদ সভা এবং বীজ বিল ও বিদ্যুৎ বিলের প্রস্তাবিত খসড়া কপি পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানান কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক গণ।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা বলেন, কৃষক এবং জনস্বার্থ বিরোধী বিচ বীজ বিল, বিদ্যুৎ বেসরকারি করন সহ ১০ টি বিল যে প্রস্তাবিত খসড়া আকারে সোমবার সংসদে উপস্থাপন করা হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে এবং নানা উপায়ে দেশের বর্তমান সরকার জনস্বার্থ বিঘ্নিত করে ও উপেক্ষা করে বিল পাস করাতে চাইছে। তার বিরুদ্ধে সারা দেশব্যাপী যে ক্রোধ এবং মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস এক কর্মসূচি নিয়ে আজকের বিলের বিরোধিতা করে সারা দেশের সাথে ত্রিপুরায়ও প্রতিবাদ কর্মসূচি সংঘটিত করছে।
পাশাপাশি মানুষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিতে রাজ্য সরকারের যে উদাসীনতার বিরুদ্ধে রাজ্য বাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি গুলি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারি করণ থেকে শ্রম কোড , সিড বিল ২০২৫, ইলেকট্রিসিটি বিল ২০২৫ সবকিছুই সাধারণ মানুষের স্বার্থকে দুর্বল করে কর্পোরেটদের সুবিধা দিচ্ছে। এই বিষয়ে কংগ্রেসের অভিযোগ, ২০১৪ সালের পর থেকে সরকার ঘন ঘন বিভাজন মূলক রাজনীতি ও নিজেদের পক্ষে প্রচারকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। যার আঁচ পড়েছে অর্থনীতির উপর।
গত পাঁচ বছরের ২ লক্ষের বেশি সংস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। শেল কোম্পানির সংখ্যা বেড়েছে। অনেক ইউনিট শ্রমিকদের পাওনা না দিয়ে তালা ঝুলিয়েছে। শিল্প উৎপাদন কমেছে। বিদ্যুৎ খাতের সংকুচন দেখা দিয়েছে। বাজারে ক্রয় ক্ষমতার পতন ঘটেছে।
এবার কৃষি ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা কর্পোরেট নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে এবং রাজ্যের নজরদারিও কমে যাবে।ডিজিটাল নজরদারি নিউ প্রশ্ন উঠে সঞ্চার সাথী প্রকল্পকে ঘিরে।
