আগরতলা : সৌহার্দ্য, সাংস্কৃতিক আদান–প্রদান এবং আন্তঃরাজ্য প্রশাসনিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বার্তা নিয়ে মঙ্গলবার আগরতলা লোকপাল ভবনে আয়োজন করা হলো আসাম রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস।

প্রতিবছর ২রা ডিসেম্বর আসাম রাজ্যের গৌরবময় ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং জাতিগত বহুত্বকে স্মরণ করেই এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল ইন্দ্র সেনা রেড্ডি নাল্লু। পাশাপাশি অনুষ্ঠানে যোগ দেন আসাম সরকারের প্রতিনিধিত্ব করতে ত্রিপুরায় নিযুক্ত বিভিন্ন উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক, দপ্তরের কর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মী এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের একাংশ। রাজ্যপাল তাঁর বক্তব্যে ভারতবর্ষের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির মধ্যে ঐতিহাসিক সৌহার্দ্য, অর্থনৈতিক বিনিময় এবং সাংস্কৃতিক বন্ধনের কথাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বলেন— “আসাম ও ত্রিপুরার সম্পর্ক বহু পুরনো।

দুই রাজ্যের মানুষ বহু ক্ষেত্রেই একে অপরের সহযোগী। উন্নয়ন, নিরাপত্তা, বাণিজ্য এবং সাংস্কৃতিক ঐক্য—সব ক্ষেত্রেই উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির সম্মিলিত অগ্রগতি খুব জরুরি।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত আসাম প্রশাসনের কর্মকর্তারা আসামের ঐতিহ্য, সমাজ–সংস্কৃতির বিবর্তন এবং উত্তর–পূর্ব ভারতের উন্নয়ন কাঠামোয় আসামের অবদানের বিষয়ে আলোকপাত করেন। পাশাপাশি দুই রাজ্যের মধ্যে প্রশাসনিক সহযোগিতা, শিক্ষাগত বিনিময়, পর্যটন সম্ভাবনা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে যৌথ কর্মপরিকল্পনার কথাও উঠে আসে আলোচনায়।

অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে পরিবেশিত হয় আসামের বিখ্যাত সংগীত ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, যেখানে বেসিক লোকসংগীত থেকে শুরু করে সমকালীন আসামি সংস্কৃতির নানা দিক তুলে ধরা হয়। অতিথিদের স্বাগত জানানো হয় ঐতিহ্যবাহী গামোছা ও ফুল দিয়ে। এদিনের অনুষ্ঠানকে ঘিরে লোকপাল ভবন প্রাঙ্গণে ছিল সাজসজ্জা ও উৎসবমুখর পরিবেশ।

উপস্থিত অতিথিরা জানান, উত্তর–পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে এই ধরনের আন্তঃরাজ্য সাংস্কৃতিক এবং প্রশাসনিক মেলবন্ধন ভবিষ্যতে আঞ্চলিক উন্নয়নকে আরও গতিশীল করবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *