আগরতলা:রাজ্যের দ্বিতীয় রেফারেল হাসপাতাল আইজিএম হাস পাতালে নিত্য নতুন ঘটনা ঘটছে। কখনো চিকিৎসকের গাফিলতি,কখনো স্বাস্থ্য কর্মীদের খামখে লিপনা আচরণ,আবার কখনো বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীদের উশৃঙ্খলতা এসব নিয়ে প্রায় সময় রোগী এবং তার পরিজনদের পক্ষ থেকে উঠে আসছে অভিযোগ। এবার শুরু হলো নতুন কাহিনী।
পুরুষ সুপারভাই জারের হাতে আক্রান্ত হয়ে রক্তাক্ত হলেন শিপ্রা দাস নামে মহিলা সুপারভাইজার। তার প্রতিবাদে রবিবার আইজিএম হাস পাতালে সাফারি সাফাই কর্মীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রতিপালন করেন। ঘটনার বিবরনে জানা গেছে, শনিবার আইজিএম হাসপাতালে বেসরকারি সংস্থার দ্বারা নিয়োজিত পুরুষ সুপারভাইজার অন্য আরেক মহিলা সুপারভাইজার শিপ্রা দাসকে মেরে রক্তাক্ত করলেন। যার ফলে আইজিএম হাস পাতালে মহিলা বিভাগে মহিলা সুপারভাইজার কে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে হচ্ছে। তারই প্রতিবাদ দেখিয়ে রবিবার আইজিএম হাসপাতালে পুরুষ সুপারভাইজারকে ঘেরাও করলেন আইজিএম হাসপাতালে সাফাই কর্মীরা। তাদের অভিযোগ এই পুরুষ সুপারভাইজার বিভিন্নভাবে মহিলা সফাই কর্মীদের উত্ত্যক্ত করেন।
এমনকি প্রায় সময় গায়ে হাত দিয়ে কথা বলেন।শরীরের জড়িয়ে ধরেন। তার এই অশালীন আচরণ এবং বাজে ব্যবহারে সাফাই কর্মীরা দিনের পর দিন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন।এবং তাদের মান-সম্মান রক্ষা করা বড় দায় হয়ে পড়েছে। সুপারভাইজার এর বিরুদ্ধে আরো অনেক অভিযোগ আনলেন মহিলা সাফাই কর্মীরা। তারা বলেন, গোটা হাসপাতালকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে গেলে যে সমস্ত সামগ্রীর দরকার তা থাকা সত্ত্বেও এই পুরুষ সুপারভাইজার সাফাই কর্মীদের দেন না। যার ফলে ভালোভাবে হাসপাতালের ওয়ার্ড গুলি এবং অন্য জায়গা গুলি পরিছন্নতার সহিত সাফাই করা যাচ্ছে না। তাদের অভিযোগ যে সমস্ত জিনিসপত্র আকাশের সাফাইয়ের জন্য সেগুলি নাকি পুরুষ সুপারভাইজার বাজারে বিক্রি করে দেন। যার ফলে সাফাই কর্মীদের রোগী এবং তার পরিজনদের কাছ থেকে প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের কথা শুনতে হয়।তারা এই ধরনের পুরুষ সুপারভাইজার কে অবিলম্বে দরখাস্ত করার দাবি জানান।
বিশেষ করে যারা আরও জানান কে তাদের মালিক তা এখনো তারা জানেন না এবং মালিকের চেহারাও দেখেননি। এদিকে,নিয়মিতভাবে সাফাই কর্মীদের মাসের বেতন প্রদান করা হয় না বলেও তাদের অভিযোগ।
এইভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাসপাতালকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে গিয়ে যদি তাদের মাসের বেতন সঠিক সময় না পান তাহলে তারা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে কিভাবে চলবেন।
