আগরতলা:পিএম সূর্য ঘর মুফত বিজলী যোজনার কাজ দ্রুত ও মান সম্পন্নভাবে সম্পন্ন করতে রাজ্য সরকার এখন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। বুধবার দুপুরে বিদ্যুৎ নিগমের কর্পোরেট কার্যালয়ে দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং (আইএএস) এই প্রকল্পে নিযুক্ত সমস্ত এজেন্সি কথা ভেন্ডারদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা বৈঠক করেন। মূল লক্ষ্য—গুণগতমান বজায় রেখে প্রত্যেক ভোক্তার বাড়িতে সময়মতো সোলার প্যানেল স্থাপন নিশ্চিত করা।
বৈঠকে বিদ্যুৎ সচিব স্পষ্টভাবে জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনকল্যাণমূলক এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করবে। যে কোনও এজেন্সি বা ভেন্ডার যদি কাজে গাফিলতি করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি ওয়ারেন্টি পিরিয়ডের পাঁচ বছর পর্যন্ত এজেন্সিগুলিকে দায়িত্ব নিতে হবে বলেও তিনি স্মরণ করিয়ে দেন।এদিন এজেন্সি প্রতিনিধিরা কিছু বাস্তব সমস্যার কথাও জানান।
বিশেষত ব্যাংক লোনের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হচ্ছে—অনেক ব্যাংক সময়মতো ঋণ মঞ্জুর করছে না। এ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, প্রয়োজনে তিনি নিজে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। এছাড়া কোম্পানিগুলির সঙ্গে ভেন্ডারদের মেটেরিয়াল আনা নেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ের ক্ষেত্রেও যদি কোন সমস্যা থাকে সরকার সে ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করবে বলে বিদ্যুৎ সচিব জানান।বৈঠকে বিদ্যুৎ নিগমের ব্যবস্থাপক অধিকর্তা বিশ্বজিৎ বসু জানান, এই প্রকল্প আমার সরাসরি নজরদারিতে রয়েছে। কোথাও অবহেলা মেনে নেওয়া হবে না। ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ নিগমের সমস্ত স্তরের আধিকারিক সর্বতোভাবে সহযোগিতা করবে। আমাদের লক্ষ্য—রাজ্যের প্রতিটি বিদ্যুৎ ভোক্তার বিল কমিয়ে আনা।
ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (কর্পোরেট) শিশির দেববর্মা বৈঠকে প্রকল্পের অগ্রগতি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। তিনি জানান, সারা রাজ্যে এখন পর্যন্ত ১৬,৮৫৫ জন ভোক্তা এই যোজনায় নাম নথিভুক্ত করেছেন। এর মধ্যে ৭,৩৬৫ জন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন এবং ইতিমধ্যে ১,১১২টি বাড়িতে সোলার প্যানেল বসানো সম্পন্ন হয়েছে।বিদ্যুৎ সচিব অভিষেক সিং আরও জানান, শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও এই সুবিধা পৌঁছে দিতে হবে। গ্রামীণ এলাকায় কাজ করা এজেন্সিগুলিকে প্রতি মাসে পুরস্কৃত করার ব্যবস্থাও থাকবে। পাশাপাশি এজেন্সিদের জন্য আলাদা হেল্পলাইন চালু করা হবে।
উল্লেখ্য, পিএম সূর্য ঘর মুফত বিজলী যোজনায় কেন্দ্র সর্বোচ্চ ৮৫,৮০০ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দিচ্ছে। ফলে সাধারণ বিদ্যুৎ ভোক্তারা ঘরে বসেই নিজেদের বিদ্যুৎ বিল কমিয়ে আনতে পারছেন—রাজ্যের শক্তি স্বনির্ভরতার পথে এটি এক বাস্তব পদক্ষেপ।
