আগরতলা।।২০২৯-৩০ অর্থ বর্ষে ত্রিপুরা আলু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পন্ন হবে। বহিঃরাজ্যে রফতানিও করা যাবে। বললেন কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি তথ্য দিয়ে বলেন, আগে প্রতি কানি জমিতে আলু উৎপাদন হতো ৩ হাজার ৬৫ কেজি। এখন প্রতি কানি জমিতে উৎপাদন হয় ১০ হাজার কেজি।
আগে টি পি এস পদ্ধতিতে আলু উৎপাদন করা হতো। তাতে দেখা যায় আলুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকলেও উৎপাদন কম। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দক্ষিণ আমেরিকার পেরুতে ইন্টারন্যাশনাল পটেটো সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এপিক্যাল রুটেড কাটিং পদ্ধতিতে রাজ্যে আলু চাষ শুরু করে। তাতে দেখা যায় আলুর উৎপাদন বেড়েছে। রাজ্যে বর্তমানে ২৩ হাজার ৭৪৬ জন চাষি ৭৬৬২ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করছে। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে পুরো বিষয়টি জানান কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
তিনি বলেন রাজ্যে বর্তমানে আলুর চাহিদা ১ লক্ষ ৫৫ হাজার মেট্রিক টন। উৎপাদন হচ্ছে ১ লক্ষ ৪৬ হাজার মেট্রিক টন। ২০২৯ – ৩০ অর্থ বর্ষের মধ্যে ত্রিপুরা আলু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পন্ন হবে বলা জানান তিনি। তখন সবার ঘরে আলু থাকবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। তার আগে ২০২৮ – ২৯ অর্থ বর্ষে আলু বীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পন্ন হয়ে যাবে।