আগরতলা।।দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলির মধ্যে ত্রিপুরা ফ্রন্ট রানার রাজ্য হিসেবে উন্নীত হয়েছে। জিএসডিপি এবং মাথাপিছু গড় আয়ের দিক থেকেও ত্রিপুরা উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থানে রয়েছে।

রাজ্যের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলিকে ভিত্তি করে ত্রিপুরা সার্বিকভাবে উন্নয়নের দিশায় এগিয়ে যাচ্ছে। আজ সচিবালয়ে পতঞ্জলি যোগপীঠ (ট্রাস্ট)-এর জেনারেল সেক্রেটারি আচার্য বালকৃষ্ণের নেতৃত্বে তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠককালে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদ ও প্রত্নতাত্বিক নির্দশনে সমৃদ্ধ ত্রিপুরায় বিকাশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। উদয়পুরের মাতা ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির, ডম্বুরের নারিকেলকুঞ্জ, উনকোটি, ছবিমুড়ার মতো দর্শনীয় স্থান রয়েছে এই রাজ্যে, যা দেশ বিদেশের পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে। রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থারও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা যথেষ্ট উন্নত।

রাজ্যের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলির বিকাশে এগিয়ে এসে সহায়তা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী পতঞ্জলি যোগপীঠ (ট্রাস্ট)-এর প্রতিনিধি দলটিকে আহ্বান জানান।বৈঠকে আলোচনাকালে পতঞ্জলি যোগপীঠ (ট্রাস্ট)-এর জেনারেল সেক্রেটারি আচার্য বালকৃষ্ণ ত্রিপুরার সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলির সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়তায় আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাজ্যের কৃষি, ধর্মীয় পর্যটন, তথ্য ও প্রযুক্তি, দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলিতে কাজ করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। রাজ্যে একটি যোগা ও ওয়েলনেস সেন্টার এবং জৈব বৈচিত্র পার্ক স্থাপনের জন্য পতঞ্জলি যোগপীঠ (ট্রাস্ট)-এর জেনারেল সেক্রেটারি আচার্য বালকৃষ্ণ আগ্রহ প্রকাশ করেন। তাছাড়াও রাজ্যে বড় পরিসরে একটি ধর্মীয় সম্মেলন আয়োজন করার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।

বৈঠকে বন দপ্তরের প্রধান সচিব আর কে সামাল, মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, নগরোন্নয়ন দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, অর্থ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, জনজাতি কল্যান দপ্তরের সচিব ড. কে শশীকুমার, পর্যটন দপ্তরের সচিব ইউ কে চাকমা, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *