আগরতলা,১৬ জুলাই।। মানুষের সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকার আন্তরিক। মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের সমস্যার কথা শুনে সরকার তার সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছে। সরকার তার সাধ্য ও ক্ষমতার মধ্যে মানুষের পাশে থেকে সমস্যা সমাধানে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করছে।
মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে আজ ‘মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু’ কর্মসূচির ৪৮তম পর্বে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। আজও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের নানা সমস্যার সমাধান করার উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় আরও বলেন, রাজ্য সরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিশায় রাজ্যের উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। রাজ্যের মানুষের সমস্যা সমাধান করে মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সরকার বদ্ধপরিকর। জনগণের কল্যাণে সরকার দায়বদ্ধতা নিয়েই কাজ করছে। কোনও সরকারই সব সমস্যার ১০০ শতাংশ সমাধান একসাথে করতে পারবে না। সরকার ধাপে ধাপে রাজ্যের মানুষের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সমাজের অন্তিম ব্যক্তির উন্নয়নের মধ্য দিয়েই আমরা এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়তে চাই। রাজ্য সরকার জনজাতি এলাকায়ও সার্বিক উন্নয়নে বিশেষ জোর দিয়েছে। বর্তমানে মানুষ বাক স্বাধীনতা পেয়েছেন, যা আগে ছিল না। ‘মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু’ কর্মসূচিতে আজ মুখ্যমন্ত্রী লাদাখের সিয়াচীনে কর্মরত অবস্থায় শহীদ নায়েক অমরপুরের বীরগঞ্জের শুভঙ্কর ভৌমিকের স্ত্রী বিপাশা সিনহার সমস্যার কথা শুনেন। তারপর দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দেন।
তাছাড়াও আজ গোমতী জেলার রাঙকাং পাড়ার প্রফুল্ল মন্ডল, খোয়াই-এর গোপালনগরের ত্রিজু দেববর্মা, মাতাবাড়ি ব্লকের সীমসীমা গ্রাম পঞ্চায়েতের লিটন বিশ্বাস, আগরতলা হরিজন কলোনীর মমতা ধানুক, বামুটিয়া ব্লকের শিউলি গোয়ালা, টেপানিয়া ব্লকের গর্জনমুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রাকেশ সরকার, আগরতলার ভাটি অভয়নগরের মনোরমা খাতুন, খোয়াইয়ের পপি দেবনাথ, রাণীরবাজারের লিটন সাহা, জন্মেজয়নগরের সুকুমার দেববর্মা, তেলিয়ামুড়া করইলং-এর মন্দিরা রুদ্রপাল ও বিলোনীয়া দাস পাড়া কলোনীর উত্তম সাহার স্বাস্থ্যজনিত বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন।
আজকের মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. পি. কে. চক্রবর্তী, অটল বিহারী বাজপেয়ী রিজিওন্যাল ক্যান্সার হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডা. শিরোমনি দেববর্মা, জি.বি. হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডা. শঙ্কর চক্রবর্তী, আই.জি.এম. হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডা. দেবাদ্রী দেববর্মা সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।