আগরতলা: হালখাতা হলো বাংলা বছরের প্রথম দিনে দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া। বছরের প্রথম দিনে ব্যবসায়ীরা তাদের দেনা-পাওনার হিসাব সমন্বয় করে এদিন হিসাবের নতুন খাতা খোলেন।

বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন দোকানপাটের হিসাব আনুষ্ঠানিকভাবে হাল খাতায় লিপিবদ্ধ করা হয়। বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ছোট বড় মাঝারি যেকোনো দোকানেই এটি পালন করা হয়ে থাকে। ত্রিপুরা রাজ্যেও বিভিন্ন দোকানে হাল খাতার প্রচলন রয়েছে। প্রতিবছর বিভিন্ন মন্দিরে হাল খাতার যাত্রা করান ব্যবসায়ীরা। রাজধানী আগরতলার লক্ষ্মি নারায়ণ বাড়িতে হাল খাতার যাত্রা করানো হয়। প্রতিবছরের মতো এবারো ব্যবসায়ীরা সকাল থেকে ভিড় জমান মন্দির চত্বরে। মূলত পহেলা বৈশাখের সকালে সনাতন ধর্মাবলম্বী দোকানী ও ব্যবসায়ীরা সিদ্ধিদাতা গণেশ ও বিত্তের দেবী লক্ষ্মীর পূজা করে থাকেন এই কামনায় যে, তাদের সারা বছর যেন ব্যবসা ভাল যায়। দেবতার পূজার্চনার পর তার পায়ে ছোঁয়ানো সিন্দুরে স্বস্তিকা চিহ্ন অঙ্কিত ও চন্দন চর্চিত খাতায় নতুন বছরের হিসেব নিকেশ আরম্ভ করা হয়। আর এই হালখাতার যাত্রা করার জন্য প্রতিবছর বাংলা নব বর্ষের প্রথম দিন রাজধানীর লক্ষ্মী নারায়ন বাড়িতে ভিড় জমায় ব্যবসায়ীরা।

এদিন লক্ষ্মী নারায়ণ বাড়ির সামনে নব বর্ষ উপলক্ষে বসে মেলাও। বিভিন্ন জায়গা থেকে দোকানীরা পসরা নিয়ে স্টল খুলে বসেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *