আগরতলা: রাজ্যে খুব সহসাই সুপার-স্পেশালিটি এবং এমডিএস কোর্স শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার।

আজ আগরতলার প্রজ্ঞাভবনে নবনিযুক্ত মেডিকেল অফিসারদের (চিকিৎসক) নিয়োগ পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, আমাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের চাহিদা ছিল। এখনো এনিয়ে সংকট রয়েছে। আমরা টিপিএসসি’র মাধ্যমে ১৭০ জনের বেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করি। যদিও মাত্র ৪৫ জন প্রার্থী পেয়েছি আমরা। তাই আমরা আবারও বিজ্ঞাপন দেব এবং এই সময়ের মধ্যে আরো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাশ করবেন। যাদেরকে দিয়ে শূন্যতা পূরণ করা যাবে। আমি আজকে যারা নিয়োগপত্র পেয়েছেন তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। মানুষ এবং তাদের সেবার কাজ করার জন্য তৈরি করা হয় ডাক্তারদের। যদিও বিভিন্ন সময়ে ডাক্তারদের নিশানা (সফট টার্গেট) করা হয়।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন জোরদার করার জন্য কাজ করছে। এর আগে আমরা দেখেছি ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা। তারপরে ধীরে ধীরে মেডিকেল প্রফেশনালদের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এখন আমাদের এমবিবিএসের জন্য ৪০০টি আসন এবং ত্রিপুরায় পোস্ট গ্র্যাজুয়েট (পিজি) এর জন্য ৮৯টি আসন রয়েছে। আমরা সুপার-স্পেশালিটি কোর্স শুরু করার চেষ্টা করছি এবং এজন্য এনএমসির সাথে আলোচনা চলছে। সরকারি মেডিকেল কলেজে আরো প্রায় ১০০ আসনের জন্য আমরা অনুমোদন পেয়েছি। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আমরা শুধু ডাক্তারদের অফার প্রদানের মাধ্যমে নয়, অন্যদেরও অফার দিয়ে জনশক্তি বৃদ্ধি করছি। ডাঃ সাহা, যিনি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও, বলেছেন একজন ডাক্তারকে প্রথমে নিট (NEET) উত্তীর্ণ হতে হয়, তারপরে এমবিবিএস কোর্সে পড়াশুনা করতে পারে। আর চার বছর পরে কমপক্ষে ৫০% নম্বর নিয়ে এমবিবিএস পাশ করতে হয়। ডাক্তার হওয়ার জন্য তাদের খুব কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। আমরা বিডিএস কোর্স শুরু করেছি এবং এমডিএস কোর্সও শুরু করা হবে। বিএসসি নার্সিংয়ের জন্য ৫০টি আসন রয়েছে। একটা সময় নার্সিং স্টাফের সমস্যা ছিল। এখন আমরা সেই শূন্যতা পূরণ করার জন্য কাজ করছি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আরও প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি। আমি নব নিযুক্তিপ্রাপ্ত ডাক্তারদের বলতে চাই যে রোগীদের সমস্যাগুলি মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে এবং সময়মতো কাজ করতে হবে। চিকিৎসকদের অবশ্যই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা বাইরে রেফারের সংখ্যা হ্রাস করার জন্য কাজ করছি।

এদিন এই কার্যক্রমে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচিব রাজীব দত্ত, স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডাঃ তপন মজুমদার, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের মিশন অধিকর্তা সাজু ওয়াহিদ সহ অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকগণ। এদিন স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে ৪৫ জন নবনিযুক্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়োগ পত্র প্রদান করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *