আগরতলা:এমন সুশাসনের যুগে হাসপাতাল গুলির মধ্যে এসব কি চলছে?দেড় ঘন্টা ধরে আই জি এম ডেন্টাল হাস পাতালে লিফটের মধ্যে আটকানো ৩ মহিলা, হসপিটাল সিনিয়র নার্স সহ আরো দুজন ছিলেন।উদ্ধার করলো ১১২ মোবাইল টিমের ইঞ্জিনিয়ার ও রাইফেল ম্যান মিঠুন সরকার। মিঠুন সরকার এ আর এস এস ১১২ অসাধারণ ভূমিকা দেখালো টিএসআর কি না পারে।আটকে পড়া লিফটের অভ্যন্তরে দম বন্ধ একজন সিনিয়র নার্স অজ্ঞান হয়ে যান?
লিফটের কোন অপারেটর ছিল না। ফায়ার সার্ভিস এসে দরজা ভেঙে তাদের উদ্ধার কাজের অভিযান চালালেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছিল সম্পূর্ণ নির্বিকার। ফায়ার সার্ভিসের এক অফিসারের বক্তব্য লিফটের অপারেটর না থাকার ফলেই এই ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। অথচ সবসময় হাসপাতালে লিফট অপারেটরদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।কিন্তু প্রায় সময় এই লিফট অপারেটর গণ হাসপাতালে উপস্থিত থাকেন না।বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা হাসপাতালে লিফট গুলি পরিচালনা করতে দেখা যায়।
এদিন হাসপাতলে অনেকে বলেন নিম্নমানের কাজের জন্যই প্রায় সময় লিফটে রোগীসহ রোগীর পরিবার পরিজন ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আটকে পড়েন।তার পরেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য কোন হেলদোল নেই। এরকম ভাবে লিফটে আটকে যদি ভয়ঙ্কর কোন দুর্ঘটনা ঘটে এর দায়ভার কে নেবে ?
এই অব্যবস্থার জন্যই রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রী ও তাদের স্ত্রী স্বামী সহ তাদের আত্মীয় পরিজন। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান না।প্রথমেই তারা রাজ্যের একমাত্র বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন এবং চিকিৎসা পরিষেবা নেন।আর না হয় বহিঃরাজ্যে চিকিৎসার জন্য চলে যান।
আবার বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের স্ত্রী স্বামী লোক দেখানোর জন্য সরকারি হাসপাতালে ১-২ দিন চিকিৎসিত হন।তারপর চিকিৎস কে বলে বহি:রাজ্যের রেফার নিয়ে চলে যায়।আর সাধারণ জনতার জন্য সরকারি হাস পাতালের নরক গুল জার অবস্থার মধ্যে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে হয়।কারণ এছাড়া রাজ্যের গরিব মানুষের যে স্বাস্থ্য রক্ষার আর কোন পথ নেই।সরকার যায় সরকার আসে।
কিন্তু গরিব সাধারণ মানুষের ভাগে আর ভালো স্বাস্থ্যকর হিসেবে মেলে না।এদিন এই ঘটনার সময় হাসপাতলে উপস্থিত অনেক রোগী এবং তার পরিবার- পরিজনদের অভিমত অবিলম্বে লিফট গুলিকে উন্নত মানের করা এবং সব সময় লিফট অপারেটরদের হাসপাতালে থাকার জন্য বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা করা।
