উদয়পুর।।দেশের প্রত্যেকটি মানুষের আর্থ-সামাজিক মানোন্নয়ন ছাড়া শক্তিশালী ভারতবর্ষ কখনো গড়ে উঠবে না। সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে জনজাতি এলাকার সার্বিক বিকাশের কাজ শুরু হয়েছে।
আজ উদয়পুরের রাজর্ষি হলে গোমতী জেলা ভিত্তিক ধরতী আবা জনভাগিধারী অভিযানের সূচনা করে একথা বলেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বের জন্য ভারতবর্ষ আজ বিশ্বের চতুর্থ অর্থনীতির দেশ হয়েছে। আগামীদিনগুলিতে ভারতবর্ষ আরও শক্তিশালী হবে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সকল সুবিধাগুলি খুব কম সময়ে সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজ্যের জনজাতি এলাকার রাস্তাঘাট, শিক্ষা, পানীয়জল, বিদ্যুৎসহ সকল ক্ষেত্রের সার্বিক উন্নয়নের বিশাল কর্মযোগ্য চলছে। অনুষ্ঠানে গোমতী জিলা পরিষদের সভাধিপতি দেবল দেবরায় বলেন পি এম জনমন প্রকল্পের রূপায়নে গোমতী জেলা সারা ভারতবর্ষে সুনাম অর্জন করেছে এবং পুরুস্কারও পেয়েছে।
তিনি আশা ব্যক্ত করেন ধরতী আবা জনভাগিধারী অভিযানের সফল রূপায়নে গোমতী জেলা আবারও সুনাম অর্জন করবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন গোমতী জেলার জেলাশাসক তড়িৎ কান্তি চাকমা। তিনি বলেন গোমতী জেলার ৭২টি ভিলেজের সুবিধাভোগীদের কাছে এই প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ২৪টি শিবির করা হবে। শিবিরগুলিতে আধার কার্ড, রেশন কার্ড, কাস্ট সার্টিফিকেট, পি আর টি সি, আয়ুষ্মান কার্ড, কে সি সি কার্ড, জনধন একাউন্ট, সামাজিক পেনশন প্রকল্পের সুবিধা, পি এম বিশ্বকর্মা, মুদ্রালোন, মহিলা এবং শিশু কল্যাণকর প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন উদয়পুর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন শীতল চন্দ্র মজুমদার। আজকের এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মৎস, কৃষি, সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর ইত্যাদি দপ্তরের বিভিন্ন সুবিধা সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় সহ বিশিষ্ট অতিথিরা।
আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাতাবাড়ি বিএসি চেয়ারম্যান বিপ্লব কুমার ঘোষ, কিল্লা বিএসি চেয়ারম্যান বাগান হরি মলসম, কাঁকড়াবন বিএসি চেয়ারম্যান উপেন্দ্র জমাতিয়া, মাতাবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শিল্পী দাস, অতিরিক্ত জেলা শাসক সুভাষ আচার্য প্রমুখ।