আগরতলা।।কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ আজ বলেছেন, বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য হলো রাজ্যকে আত্মনির্ভর করা এবং প্রতিটি ঘরে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা। তিনি বলেন আমাদের রাজ্যকে আত্মনির্ভর করতে গেলে কৃষি পরিকাঠামোর উন্নয়ন অত্যন্ত আবশ্যক এবং বর্তমান রাজ্যসরকার এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই রাজ্যের বিভিন্ন বাজারগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আজ উদয়পুরে কৃষি ও উদ্যানপালন দপ্তরের জন্য এক ছাদের নিচে বহুতল অফিস ভবন এবং রাজারবাগ প্রাথমিক গ্রামীণ বাজার উদ্বোধনের সময় এই কথা বলেন। মন্ত্রী জানান, বহুতল অফিস ভবনটির জন্য ৮.২৭ কোটি টাকা এবং প্রাথমিক গ্রামীণ বাজারটির জন্য ২.২৭ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন রাজ্যের সার্বিক কৃষি ব্যবস্থাকে আরো জনকল্যানমুখী করে তুলতে বর্তমান সরকার নিরন্তর প্রয়াস জারী রেখেছে এবং কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহন করেছে। তিনি বলেন দূর দূরান্ত থেকে কৃষকরা কোনো পরামর্শ বা কৃষি উপকরনের জন্যে এলে তাদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় এবং দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে পারেন সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই উদয়পুরের কৃষি দপ্তরের জেলাস্তরের সমস্ত শাখাগুলিকে এক ছাদের নিচে নিয়ে আশার পরিকল্পনা নিয়ে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে নতুন এই ভবনটির নির্মান কাজ শুরু হয়েছিল।
মন্ত্রী জানান আমাদের মূল লক্ষ্য আত্মনির্ভর ভারত এবং আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গঠন করা। আমরা চাই প্রতিটি ঘরে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হোক। সবার জন্য সরকারি চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়, কিন্তু কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব — এটিই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টিভঙ্গি।” তিনি আরও বলেন আমাদের সরকার প্রতিটি বাড়িতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে। ২০১৮ সালের আগে আগের সরকার বাজার উন্নয়নে মাত্র ২০ কোটি টাকা ব্যয় করেছিল, কিন্তু গত সাত বছরে আমরা ৩০৩ কোটি টাকা ব্যয় করেছি। প্রায় সব বাজারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের শুধু উৎপাদনের দিকেই নয়, বিক্রির দিকেও নজর দিতে হবে। কৃষকরা আজ যে সম্মান পাচ্ছেন, তা আগে কখনো পাননি।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে কৃষকরা আজ দেবতার সমান সম্মান পাচ্ছেন, কারণ তারাই আমাদের অন্নদাতা।কৃষি মন্ত্রী বলেন সবাইকে কৃষকদের সম্মান করতে হবে। প্রতিটি জনপ্রতিনিধির মনে রাখা উচিত—জীবন একটি খাতার মতো, যার প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠা ঈশ্বর পূর্ণ করেছেন (জন্ম ও মৃত্যু), আর মাঝের পাতাগুলি আমাদের নিজেদের লিখতে হয়।” মন্ত্রী জানান, গোমতী জেলা রাজ্যের সেরা জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, তবে এখানেও আরও উন্নয়ন প্রয়োজন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। পাশাপাশি তিনি বাজারগুলির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া, জিতেন্দ্র মজুমদার, অভিষেক দেবরয়, সঞ্জয় মানিক ত্রিপুরা, পাঠান লাল জমাতিয়া এবং রণজিত দাস।
