আগরতলা।।বর্ধিত বিদ্যুৎ বিলের জন্যে স্মার্ট মিটার দায়ী নয় । স্মার্ট মিটার নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। স্মার্ট মিটার ব্যবহারের ফলে গ্রাহকরা সঠিক সময়ে তাদের বিদ্যুতের ব্যবহার সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন।
শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই দাবি করলেন বিদ্যুৎ নিগমের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলীরা। শুক্রবার আগরতলা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে স্মার্ট মিটারের পক্ষে অনেক যুক্তি দাঁড় করলেন বিদ্যুৎ নিগমের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলীরা । উনারা জানান , গোটা রাজ্যে স্মার্ট মিটার নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে । তাই তারা এই বিভ্রান্তি দূর করতে স্মার্ট মিটারের বিভিন্ন দিক জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য চেষ্টা করছেন। তাদের বক্তব্য স্মার্ট মিটার একটি প্রকৃত তথ্য প্রযুক্তির সম্পন্ন মিটার। কিছুদিন ধরে স্মার্ট মিটার লাগানোর ফলে অধিক বিল আসার বিষয়ে যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে তার পেছনে অন্য কারণ রয়েছে। মূলত ফুয়েল এন্ড পাওয়ার পারচেস কস্ট এডজাস্টমেন্ট (এফপিপিসিএ) এবং স্যান্ড্রি এই দুটি যোগ হয়ে যে বিদ্যুৎ বিলটি আসছে সেটি বর্ধিত বলে মনে হচ্ছে। ফুয়েল কস্ট বিদ্যুৎ নিগম নির্ধারণ করে না।
ত্রিপুরা ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশনটি এটি নির্ধারণ করে, যা নিগমকে মানতে হয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে রাজ্যে ধাপে ধাপে স্মার্ট মিটার লাগানো শুরু হয়েছে। কিন্তু তখন থেকে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়নি। কিন্তু বর্তমান জুলাই মাসে বিলটি বর্ধিত আসায় সাধারণ জনগণ বিভ্রান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন। তারা মনে করছেন স্মার্ট মিটারের জন্যই এই বিল বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারা আরো জানান, রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগ মেলেছে। এর পেছনে স্মার্ট মিটার দায়ী নয়, অন্য কোন কারণ রয়েছে। তাদের দাবি, যে সকল বিদ্যুৎ নিগমের কর্মীরা এই রিডিং সংগ্রহ করেছেন তারা কোন ভুল করে রিডিং তুলে নিয়ে গেছেন। যার ফলে বিদ্যুৎ বিলে বড় অংকের বিল এসেছে। এর জন্য স্থানীয় বিদ্যুৎ নিফম অফিসে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানানো হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন । সাংবাদিক সম্মেলনে অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুজিত বিশ্বাস, দিলীপ দাস, দেবব্রত লস্কর, সুদীপ কর সহ অন্যান্যরা।
বিদ্যুৎ পরিষেবার উন্নতিকরণে স্মার্ট মিটার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সময়ের সাথে সাথে তথ্যপ্রযুক্তির সাথে নির্ভর করে গ্রাহক এবং নিগম উভয়ের সুবিধার্থে এই স্মার্ট মিটারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। স্মার্ট মিটার লাগানোর ফলে গ্রাহকরা তাদের বিদ্যুৎ খরচ সম্পর্কে প্রতিনিয়ত অবগত থাকতে পারবেন। পাশাপাশি কোন বিদ্যুৎ কর্মীর ভুলের কারণে বর্ধিত বিদ্যুৎ বিল আসার কোন সুযোগ থাকবে না।