আগরতলা।।সরকার শিক্ষকদের সমস্যাগুলি নিশ্চয় দেখবে। আমি এসে ২৯ মাসে ২৯ শতাংশ ডি এ দিয়েছি। এর জন্যে আপনাদের কোনো আন্দোলন করতে হয়নি। চাইছি কেন্দ্রের সঙ্গে পার্থ্যাকাটা যত কমানো যায়। পাশাপাশি শিক্ষকদের কাছ থেকে আমাদের প্রত্যাশাও অনেক।
অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শিক্ষিক মহাসংঘের এক সম্মেলনে এই কথাগুলি বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। শিক্ষকদের থেকে সরকারের প্রত্যাশা কতটা এবং শিক্ষকদের জন্যে সরকার কি করছে তা তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী। আমাদের সরকার আসার পর আন্দোলন ছাড়াই দাবি পূরণ হয়। ১ শতাংশ ডি এ দিতে ১০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। আমি আসার পর ২৯ শতাংশ ডি এ দিয়েছি। এর জন্যে আপনাদের কোনো আন্দোলন করতে হয়নি। চাইছি কেন্দ্রের সঙ্গে পার্থ্যাকাটা যত কমানো যায়। একইসঙ্গে শিক্ষকদের অন্যান্য সমস্যাগুলি সরকার দেখবে। পরিকাঠামো উন্নয়ন , নিয়োগ সবগুলি ব্যাপারেই সরকার চিন্তা ভাবনা করছে।
এই কথাগুলির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, শিক্ষকরা ভবিষৎ গড়ার কারিগর। তাদের কাছে সরকারের প্রত্যাশা অনেক। অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শিক্ষিক মহাসংঘের তৃতীয় ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয় রবিবার নজরুল কলা ক্ষেত্রে। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথাগুলি বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ২০৪৭ এ উন্নয়নের রোড ম্যাপ নিয়েও আলোচনা করেন। বলেন ২০৪৭ এর রোড ম্যাপ তৈরির ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির মধ্যে ত্রিপুরা পঞ্চম স্থানে রয়েছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে প্রথম। প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশেই তা করা হয়। রাজ্যগুলির উন্নয়নের দিশা না থাকলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ৪২টি স্কুলে অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শিক্ষিক মহাসংঘের সংগঠন রয়েছে। এই স্কুলগুলিতে পাঁচ শতাধিক শূন্যপদ রয়েছে। ২০১২ সালের পর থেকে এই স্কুলগুলিতে কোনো শিক্ষক নিয়োগ হয়নি বলে অভিযোগ। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবিগুলি তুলে ধরেছেন অখিল ভারতীয় রাষ্ট্রীয় শিক্ষিক মহাসংঘের নেতৃত্ত।