আগরতলা।।শিক্ষক দিবসের মহৎ উপলক্ষে ১৮ সুর্য্যমণি নগর এলাকায় এক বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন এলাকার প্রায় ৫০০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে শাল, ফুল ও মিষ্টি দিয়ে সম্মান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যক্ষ শ্রী রামপ্রসাদ পাল। তিনি শিক্ষক সমাজের অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, “শিক্ষকরা সমাজ গঠনের মূল ভিত্তি। তাঁদের অবদানকে স্মরণ করেই নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে যেতে হবে।”
শ্রী রাম প্রসাদ পাল শিক্ষক দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন— “শিক্ষকরা শুধু বই পড়ান না, তাঁরা সমাজের প্রকৃত আলোকবর্তিকা। আজকের দিনে যখন বিভিন্ন প্রলোভন, চ্যালেঞ্জ ও বিভ্রান্তির মধ্যে তরুণ প্রজন্ম পথ হারিয়ে ফেলছে, তখন একজন সৎ ও আদর্শ শিক্ষকই তাঁদের সঠিক পথে চালিত করতে পারেন। আমি নিজে ছাত্রজীবনে বহু মহান শিক্ষকের কাছ থেকে প্রেরণা পেয়েছি।
আমাদের দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিনে প্রতি বছর শিক্ষক দিবস পালিত হয়। তিনি নিজেও একজন মহান শিক্ষক ছিলেন এবং বিশ্বাস করতেন—‘শিক্ষক জাতির মেরুদণ্ড’। তাই আজকের দিনটি কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি আমাদের কাছে এক অঙ্গীকার— আমরা যেন শিক্ষক সমাজকে সর্বোচ্চ সম্মান দিই এবং তাঁদের হাত ধরে নতুন প্রজন্মকে সঠিক মূল্যবোধের পথে এগিয়ে দিই।”
তিনি আরও বলেন—
“আজ ৫০০ শিক্ষক-শিক্ষিকাকে সংবর্ধনা দেওয়া হলেও, প্রকৃতপক্ষে এখানে উপস্থিত প্রতিটি শিক্ষকই সমাজের হাজারো পরিবারের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলছেন। তাই তাঁদের অবদান কখনও ভোলার নয়। এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে শিক্ষকদের মনোবল বাড়াবে এবং তাঁদের কর্মপ্রেরণা আরও জাগ্রত করবে।”
অনুষ্ঠানটি হয় আমতলী স্কুল কমিউনিটি হলে।
আয়োজক ১৮ সুর্য্যমণি নগর মন্ডল কমিটি জানিয়েছে, এই উদ্যোগের লক্ষ্য শুধুমাত্র সম্মান প্রদর্শন নয়, সমাজে শিক্ষার মর্যাদা বৃদ্ধি ও শিক্ষক সমাজের অবদানকে সামনে আনা। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষকমণ্ডলী ও অতিথিদের মধ্যে সৌহার্দ্যের আবহ বিরাজ করে।