আগরতলা: রাজ্যে একটি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রক্রিয়া জারি রেখেছে সরকার। যাতে রাজ্যের মহিলাদের ক্ষমতায়ন করা যায়। খুব সহসাই এবিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে আগামীদিনে আরো পরিকাঠামো উন্নয়নে কাজ করছে সরকার।

                 
এর পাশাপাশি রাজ্যের বর্তমান সরকার কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের মধ্যে ডিএ'র ব্যবধান হ্রাস করার চেষ্টা করছে।


                            আজ আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত ৬৪তম শিক্ষক দিবসের রাজ্যের মূল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। 

                             শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, আপনি অর্থ রোজগারের জন্য অন্য পেশায় যেতে পারেন, তবে শিক্ষকরা কিন্তু এই পেশা আবেগ ও দায়িত্ব থেকে বেছে নিয়েছেন। ভবিষ্যত প্রজন্মের দায়বদ্ধতার জন্য আপনারা এই মহৎ পেশায় যোগদান করেছেন। শিক্ষকরা হচ্ছেন একটি গাছের শিকড়ের মতো, যেখানে ছাত্রছাত্রীরা শাখা প্রশাখা, ফল ও ফুল, যারা তাদের কাছ থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে। শিক্ষকদের জন্য দেশ ও জাতি এগিয়ে চলছে। তাই ভিত শক্তিশালী হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই কাজটাই নিষ্ঠার সঙ্গে তৈরি করে দিচ্ছেন শিক্ষকরা। 


                                 মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, শ্রেণীকক্ষে প্রবেশের আগে শিক্ষকরা সবসময় ছাত্রছাত্রীদের নতুন কিছু দেওয়ার চেষ্টা করেন। শিক্ষকতা পেশায় মানসিক, শারীরিক ও আবেগের শক্তি থাকা খুবই প্রয়োজন। শিক্ষকরা হচ্ছেন উদ্ভাবক, যারা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জ্ঞান ও মূল্যবোধ তৈরি করেন। শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের জীবনকে আলোকিত করে তোলেন। তারা হচ্ছেন জাতির মেরুদণ্ড এবং সকলে তাদের উপর নির্ভর করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতীয় শিক্ষা নীতি চালু করেছেন, যা ত্রিপুরাতেও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে।

আমাদের সরকার নয়া সংস্কার আনার লক্ষ্যে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেরা শিক্ষকদের নিয়োগের জন্য কাজ করছে।

                          মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা, যিনি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীও, বলেন, রাজ্যের বর্তমান সরকার তিনটি নতুন সরকারি কলেজ স্থাপন করছে। মুখ্যমন্ত্রী কন্যা আত্মনির্ভর যোজনার অধীনে ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় উৎসাহিত করার জন্য স্কুটি প্রদান করা হয়েছে। আমাদের অবশ্যই মেয়েদের অগ্রগতির জন্য কাজ করতে হবে। এরজন্য আমরা সরকারি ডিগ্রি কলেজগুলিতে ছাত্রীদের জন্য সব ধরণের ফি মকুব করেছি। আমাদের রাজ্য সরকারও মেয়েদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে একটি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য কাজ করছে। এর প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। 

                         মুখ্যমন্ত্রী আরো জানান, আগে ডিএ এবং ডিআর - পাওয়ার জন্য প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিতে হয়েছিল। আগামীদিন আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে ডিএ এবং ডিআর এর ব্যবধান হ্রাস করার চেষ্টা করছি।  

                              শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. অতুল দেববর্মাকে পণ্ডিত ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর সম্মান, বিশিষ্ট সমাজসেবী সমীর চক্রবর্তীকে ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি সম্মান এবং ডিসি পাড়া হেমন্ত স্মৃতি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা প্রণতি দেববর্মাকে মহারানী তুলসীবতি সম্মান তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। 

                             এই অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য পদ্মশ্রী ড. অরুণোদয় সাহা, শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, উচ্চশিক্ষা অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা, এসসিইআরটির অধিকর্তা এল ডার্লং, ককবরক ও অন্যান্য ভাষা দপ্তরের অধিকর্তা আনন্দ হরি জমাতিয়া, শিক্ষা অধিকর্তা এন সি শর্মা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *