Overview:
চিকিৎসকদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন বিশেষ প্রয়োজন: মুখ্যমন্ত্রী
চিকিৎসা সুবিধা সম্পর্কে সচেতনতার উপর গুরুত্ব রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী
আগরতলা: রাজ্যের বর্তমান সরকার একটি নতুন ত্রিপুরা তৈরির জন্য কাজ করছে, যাতে পরবর্তী প্রজন্মকে সমস্যার মুখোমুখি না হতে হয়। আর এখন প্রায় প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে চিকিৎসার সুবিধা রাজ্যের মধ্যেই পাওয়া যায়।
আজ ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ ও ডাঃ ব্রাম টিচিং হাসপাতালের ২০তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে হাঁপানিয়া বিবেকানন্দ অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের সূচনা করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এই কার্যক্রমের মধ্যে ছিল পুনঃসংস্কার করা মাঠ ও নয়া গ্যালারি উদ্বোধন, জি+১৩ রেসিডেন্সিয়াল বিল্ডিং ও জি+৪ ট্রমা সেন্টার বিল্ডিংয়ের শিলান্যাস, রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন এবং ডাঃ ব্রাম টিচিং হাসপাতালের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজে এত সুন্দর খেলার মাঠ দেখে আমি সত্যিই খুশি। আর নতুন বিল্ডিং আবাসনের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এখানে একটি ট্রমা সেন্টার স্থাপনের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি, এতে রোগীদের জিবিপি হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ থেকে প্রায় ১৩ ব্যাচ এমবিবিএস ছাত্রছাত্রী ইতিমধ্যে বেরিয়েছে, সম্ভবত এরও বেশি হতে পারে। পরবর্তী সময় থেকে, এই ধরণের কার্যক্রমের সময় এলামনি ও প্রাক্তন চিকিৎসকদের অবশ্যই আমন্ত্রিত জানাতে হবে। যখন একজন নিখুঁত ব্যক্তি কোনও কলেজ চালান, আমি সত্যিই খুশি হই, তবে সরকারী ক্ষেত্রে সাধারণত দায়িত্ব নিতে পছন্দ করে না মানুষ। পরিকাঠামোগত সংখ্যা আরও বৃদ্ধি হবে, তবে আমাদের অবশ্যই বিদ্যমান পরিকাঠামোগুলি সংস্কার সাধনের কাজ করতে হবে, যাতে এটি দেখতে ভাল লাগে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ধীরে ধীরে সবক্ষেত্রে উন্নয়ন অবশ্য হবে। আমি এখানে ব্যাপক উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করেছি। আমি যারা পুরস্কার অর্জন করেছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাতে চাই। চিকিৎসকের পেশা একটি মহৎ পেশা এবং সেই সাথে আমাদেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে। আমরা আমাদের দায়িত্বগুলি এড়াতে পারি না, এবং আমরা যদি আমাদের ত্রুটি চিহ্নিত করতে পারি, তবে নিজেদের উন্নত করতে পারবো। আমরা যদি বিশ্রামে থাকি তবে কোন কাজ সমাধা হবে না। ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ আরো ৫০টি এমবিবিএস আসনের জন্য আবেদন করেছেন। এই আসন সংখ্যা বাড়লে ছেলেমেয়েরা উপকৃত হবে। আমাদের অনেক ছাত্রছাত্রী রয়েছে যারা রাজ্যের বাইরে, এমনকি বিদেশেও সুনামের সঙ্গে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্বের সঙ্গে বলেছেন যে ডাক্তার সহ সকলের জন্য দক্ষতা বিকাশ খুবই প্রয়োজনীয়। রাজ্যে রোগী রেফারের সংখ্যা অনেক কমেছে। রেফারেল কেস হওয়া উচিত নয়। আজকাল, প্রত্যেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা ত্রিপুরায় পাওয়া যায়। যদিও মানুষ এবিষয়ে অবগত নয় এবং তাদের সমস্ত অর্থ ব্যয় করে রাজ্যের বাইরে চলে যায়। আমাদের অবশ্যই এ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। আমাদের স্পিকার (অধ্যক্ষ) এখন স্থিতিশীল এবং অক্সিজেন ছাড়াই চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তিনি ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজে প্রাথমিক চিকিৎসার সুযোগ পেয়েছিলেন। এখন আমাদের কাছে এআই, প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট রয়েছে। যার মাধ্যমে উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা করতে পারি। আমাদের অবশ্যই এই সমস্ত সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে। আমরা একটি নতুন ত্রিপুরা তৈরির জন্য কাজ করছি, যাতে পরবর্তী প্রজন্ম কোন সমস্যার মুখোমুখি না হয়।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, সোসাইটি ফর ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ এর চেয়ারম্যান ডাঃ প্রমথেশ রায়, সোসাইটি ফর ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ এন্ড ডাঃ ব্রাম টিচিং হাসপাতালের সিইও স্বপন সাহা, ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ অরিন্দম দত্ত, মেডিকেল সুপার প্রফেসর ডাঃ জয়ন্ত পোদ্দার, প্রফেসর ডাঃ এ কে চাকমা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট চিকিৎসকগণ।