আগরতলা।।এবারের রাজ্য বাজেটে ত্রিপুরার স্থায়ী বাসিন্দা সেনাবাহিনী/ সিএপিএফ পার্সনালদের অবিবাহিত এবং নির্ভরশীল ১৮ বছরের বেশি বয়সী কন্যা। পুত্রদের সামাজিক পেনশন প্রদান করার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বাজেটে এই প্রকল্পের জন্য ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

আজ সচিবালয়ের ২ নং সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত রাজ্য সৈনিক বোর্ডের ২৯তম সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। সভায় আলোচনাকালে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে, স্টার্ট আপ, প্রাণীসম্পদ, মৎস্য ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেসকল উদ্যোগী প্রাক্তন সৈনিক কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন তাদের তালিকা সহ তাদের সম্পর্কিত সম্পূর্ণ তথ্য প্রদান করার জন্য সৈনিক কল্যাণ অধিদপ্তরের ডিরেক্টরকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলেন। এক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী সভায় উল্লেখ করেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাক্তন সৈনিক ও তাদের উপর নির্ভরশীলদের তথ্য ও প্রযুক্তি, টি.সি.এস, টি.পি.এসসি. পরীক্ষায় প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় কোচিং-এর ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। রাজ্যের সৈনিক রেস্ট হাউজটির প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিষয়েও মুখ্যমন্ত্রী সভায় গুরুত্ব আরোপ করেন। সভায় আলোচনাক্রমে সৈনিক কল্যাণ অধিদপ্তরের ডিরেক্টর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (আইএন) পরমজিৎ সিং প্রয়াত এবং প্রাক্তন সৈনিকদের কল্যাণে গৃহীত কর্মসূচিসমূহ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন।তিনি রাজ্য সৈনিক বোর্ডের সর্বশেষ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেন। প্রয়াত এবং প্রাক্তন সৈনিকদের কল্যাণে বিভিন্ন প্রস্তাবিত বিষয়গুলি নিয়েও সভায় আলোচনা করা হয়। সভায় প্রাক্তন সৈনিক ও তাদের উপর নির্ভরশীলদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, রাজ্যের সৈনিকদের গ্যালান্ট্রি ও সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড-এর পুরস্কারের মূল্য বৃদ্ধি করা, যুদ্ধে বা সংঘর্ষে মৃত। শারীরিকভাবে অক্ষম হওয়া রাজ্যের প্রতিরক্ষা জওয়ানদের জন্য এককালীন এক্স-গ্রেসিয়া গ্রান্ট বৃদ্ধি করা, সৈনিক রেস্ট হাউজের সংস্কার, প্রাক্তন সৈনিকদের পুর করে ছাড় প্রদান, রাজ্য সরকারের চাকরিতে প্রাক্তন সৈনিকদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা, ইন্টিগ্রেটেড সৈনিক কমপ্লেক্সের সম্প্রসারণ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

সভায় বিধায়ক স্বপ্না দাস পাল, মুখ্যসচিব জে. কে. সিনহা, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অনুরাগ, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, অর্থ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, সাধারণ প্রশাসন (রাজনৈতিক) দপ্তরের সচিব টি. কে. দেবনাথ সহ প্রাক্তন সৈনিকগণ আলোচনায় অংশ নেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *