আগরতলা।।রাজ্য জুড়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পালিত হলো রাখি বন্ধন উৎসব। বিভিন্ন সংস্থা সংগঠনের উদ্যোগে সৌভাতৃত্বের বন্ধন ছড়িয়ে দিতে বেশ ঘটা করে দিনটি উদযাপন করা হয়েছে। বোনেরা ভাইদের হাতে রাখি পরিয়ে দিয়ে তাদের সুস্বাস্থ্য কামনা করেন। ভাইরাও বোনেদের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেন।

প্রতি বছর শ্রাবনী পূর্ণিমাতে রাখি বন্ধন উৎসব পালিত হয়। সুদীর্ঘকাল ধরে এই পরম্পরা চলে আসছে। সৌভাতৃত্বের বন্ধন ছড়িয়ে দিতে দেশ জুড়ে এই উৎসব পালিত হয়। আমাদের রাজ্যেও বিভিন্ন সংস্থা সংগঠনের পক্ষ থেকে এই উৎসব পালিত হয়েছে। এই বিশেষ তিথিতে বোনেরা ভাই দেড় হাতে রাখি পরিয়ে দিয়ে তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করেন। ভাইরাও বোনেদের রক্ষা করার প্রতিজ্ঞাবধ্য হন। শুক্রবার এই রাখি পূর্ণিমা তিথিতে মহিলা মোর্চার বোনেরা সীমান্ত সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত ভাইদের হাতে রাখি পরিয়ে দেন।

মহিলা মোর্চার এই কর্মসূচিতে দেখা যায় প্রদেশ বিজেপির সহ-সভানেত্রী পাপিয়া দত্ত, কর্পোরেটার রত্না দত্ত সহ অন্যান্যদের। প্রতি বছরেই মহিলা মোর্চার উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়। আখাউড়া সীমান্তে নিয়োজিত বি এস এফ জোয়ানদের হাতে রাখি পরিয়ে দেন তারা। এ ছিল এক আনন্দমুখর আবেগঘন মুহূর্ত। এদিকে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও রাজধানীর জয়নগরস্থিত নব দিগন্ত সামাজিক সংস্থার উদ্যোগে তাদের ২২ তম রাখি বন্ধন উৎসব পালন করা হয়। এদিন সকালে ক্লাবের সামনে বোনরা পথ চলতি ভাইদের হাতে রাখি পরিয়ে এই রাখি বন্ধন উৎসব পালন করেন। সমাজের সকল অংশের মানুষদের মধ্যে সৌভাতৃত্বের বার্তা দিতেই তারা এই দিনটি পালন করেন।

নব দিগন্তের এই অনুষ্ঠান ঘিরে সংস্থার সদস্য সদস্যাদের মধ্যে বেশ উৎসাহ দেখা গিয়েছে। রাখি বন্ধনের এই উৎসবে বসে নেই আগরতলা পুর নিগমের ১৪ নং ওয়ার্ডের বোনেরা। কর্পোরেটর স্নিগ্ধা দেব এর নেতৃত্বে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। দুর্গা চৌমুহনী এলাকায় ব্যবসাহী, পথচারী সহ বিভিন্ন অংশের মানুষের হাতে রাখি বেঁধে দেন তারা। এই কর্মসূচিতে রামনগর মন্ডলের কার্যকর্তারাও ছিলেন। বেশ উৎসাহের সঙ্গে এই দিনটি পালন করেন তারা। সমাজের সকল অংশের মানুষের মধ্যে ঐক্য ও সৌভাতৃত্বের বন্ধন ছড়িয়ে দিতেই এই উৎসব পালন করেন তারা।

উল্লেখ্য ১৯০৫ সালে বিশ্ব কবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর বঙ্গ ভঙ্গের প্রতিবাদে হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে ঐক্যের মেল বন্ধন সুদৃঢ় করতে রাখি বন্ধন উৎসবকে বাঙালিদের মধ্যে ব্যাপক হরে চালু করেন। তা ছাড়া ত্রেতা যুগেও রাখি বন্ধন উৎসব প্রচলিত ছিল বলে কথিত রয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *