আগরতলা।।মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচির ৪৩তম পর্বে আজও বহু মানুষের সাথে সরাসরি কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানাবিধ সমস্যা নিয়ে সাহায্য প্রত্যাশীগণ এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে। চিকিৎসা, কর্মসংস্থান সহ বিভিন্ন বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী সমস্যা-পীড়িতদের সাথে কথা বলেন ও তাদের সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানের চেষ্টা করেন। সেকেরকোটের পেশায় সেলসম্যান ক্যান্সার আক্রান্ত প্রবীর দাস এবং গন্ডাতুইসার দিনমজুর রাজকুমার সরকার এসেছিলেন স্নায়ুজনিত সমস্যায় আক্রান্ত তার ছেলে অন্তর সরকারের চিকিৎসার আর্জি নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী সাথে সাথে অটল বিহারী বাজপেয়ী আঞ্চলিক ক্যান্সার হাসপাতালের সুপার এবং জিবিপি হাসপাতালের সুপারের সাথে কথা বলে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন। আগরতলার বনমালীপুরের লক্ষীনারায়ণ বাড়ি লেনের স্বামী পরিত্যক্তা রীণা দাসের পা-এর চিকিৎসা এবং আগরতলা দক্ষিণ রামনগরের অন্নপূর্ণা দাস হার্টের চিকিৎসা সহায়তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানালে মুখ্যমন্ত্রী তাদের চিকিৎসা সহায়তায় জিবিপি হাসপাতালের মেডিকেল সুপারকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার পাশাপাশি তাদের আয়ুষ্মান কার্ডের ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। সাব্রুমের মাগুরছড়ার পেশায় প্রাইভেট টিউটর অভিজিৎ লস্কর চোখের চিকিৎসার সহায়তার আর্জি নিয়ে এসেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী সাথে সাথে জিবিপি হাসপাতালের মেডিকেল সুপারের সাথে কথা বলে তার চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। তেলিয়ামুড়ার শান্তিনগরের মিঠু চক্রবর্তী তার ৯ বছরের ছেলের কথা বলার সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে এসেছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী মিঠু চক্রবর্তীর ছেলেকে জিবিপি হাসপাতালে নিয়মিত স্পিচ থেরাপি করানোর পরামর্শ দেন। মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে আগরতলা রেশমবাগানের হীরা দাস (শীল) তার স্বামী দিনমজুর মন্টু কুমার শীলের চিকিৎসার সহায়তার আর্জি জানালে মুখ্যমন্ত্রী তার চিকিৎসায় বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবস্থার পাশাপাশি তাকে দিব্যাঙ্গভাতা প্রদান করা যায় কিনা সে ব্যাপারে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের সচিবকে উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেন। এছাড়া লংতরাইভ্যালীর দক্ষিণ ছৈলেংটা রেক্সোনা চাকমা তার বাবা ক্যান্সার আক্রান্ত শোভা রঞ্জন চাকমা, ফটিকরায় গকুলনগরের দিনমজুর রঞ্জিত বিশ্বাসের ৩ বছরের কন্যা পায়েল বিশ্বাস, টাউন বড়দোয়ালীর ভোলা ঘোষ, পুলিন চন্দ্র দাস সহ আরও অনেকে চিকিৎসা সহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে আসেন। মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রত্যেককে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।
আজ মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. পি. কে. চক্রবর্তী, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের সচিব তাপস রায়, স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডা. তপন মজুমদার, জিবিপি হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ডা. শঙ্কর চক্রবর্তী, অটল বিহারী বাজপেয়ী আঞ্চলিক ক্যান্সার হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ডা. শিরোমণি দেববর্মা, আই.জি.এম. হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ডা. দেবাশ্রী দেববর্মা সহ আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা এবং মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।