আগরতলা।।মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচির ৪৪তম পর্বে আজও মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত সমস্যা পীড়িত মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। প্রত্যেকের সমস্যা সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী আন্তরিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

আগরতলা চন্দ্রপুরের দৃষ্টিহীন রিম্পি সাহা (দাস) এসেছিলেন তার ১০ মাস বয়সী কন্যা অস্মিতা দাসের চিকিৎসার সহায়তার আর্জি নিয়ে। অস্মিতা চোখের সমস্যাজনিত অসুখে ভুগছেন। মুখ্যমন্ত্রী অস্মিতার চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে সঙ্গে সঙ্গেই সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের সচিবকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দেন। খোয়াই জেলার আশারামবাড়ির দিনমজুর প্রসেনজিৎ দেববর্মা পায়ের সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রসেনজিৎ দেববর্মার চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে জি.বি. হাসপাতালে তার পায়ের অপারেশন করানোর জন্য জি.বি. হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারকে নির্দেশ দেন।

শান্তিরবাজারের মরণ বণিক তার কন্যার চিকিৎসার সাহায্য চাইলে মুখ্যমন্ত্রী জি.বি. হাসপাতালে তার কন্যার চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন। অনুরূপভাবে, আগরতলা ভট্টপুকুরের ক্যান্সার আক্রান্ত তপন সরকার, আগরতলা উজান অভয়নগরের প্রদীপ কর্মকারের ৯ মাস বয়সী কন্যা সন্তানের চিকিৎসা, আগরতলা অভয়নগরের রুমা দেবনাথ, প্যারাডাইস চৌমুহনির সুদীপ পোদ্দার, ভট্টপুকুরের শঙ্কর মজুমদার, খোয়াইয়ের রাজীব দেব, চিকিৎসার সহায়তার আর্জি জানালে মুখ্যমন্ত্রী তাদের প্রত্যেককেই চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন। তাছাড়াও এদিন স্বর্ণালী সাহা, শর্মিষ্ঠা পাল সহ আরও অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলে তাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পেয়েছেন।

আজকের মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. পি. কে. চক্রবর্তী, নগর উন্নয়ন দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের সচিব তাপস রায়, স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডা. তপন মজুমদার, জি.বি.পি. হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডা. শঙ্কর চক্রবর্তী, অটল বিহারী রিজিওন্যাল ক্যান্সার হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডা. এস দেববর্মা, আই.জি.এম. হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডা. দেবাশ্রী দেববর্মা, প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা এবং মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *