আগরতলা।। আগরতলার পাশাপাশি গোটা রাজ্যেই ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে বেসরকারি কোচিং সেন্টার। নিজেদের মর্জিমতো এরা অভিভাবকদের পকেট কাটছে। অথচ তাদের ৯০ শতাংশেরই রেজিস্ট্রেশনেই।

এবার এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হলো খোদ শাসক দলের সমর্থক ছাত্র সংগঠন এ বি ভি পি। বেসরকারি কোচিং সেন্টারগুলি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্যে এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্কুলগুলিতে ঠিক ভাবে পড়াশোনা না হওয়ার দরুন শিক্ষার্থীদের কোচিং সেন্টারে ছুটতে হচ্ছে। আর এর সুযোগ নিচ্ছে কোচিং সেন্টারগুলি। নিজেদের মর্জি মতো টাকা আদায় করছে। একটি ছোট ঘরে গাদাগাদি করে ছাত্রদের পোড়ানো হচ্ছে। রাজ্যের ৯০ শতাংশের উপর কোচিং সেন্টারগুলির নেই রেজিস্ট্রেশন। তাতে কোচিং সেন্টারগুলির বিশ্বাস যোগ্যতা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে তেমনি স্কুলগুলিতে শিক্ষার মান নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কোচিং সেন্টারগুলির বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হয়ে অভিভাবকরা প্রথম দ্বিতীয় শ্রেণীর শিশুদেরকেও কোচিং সেন্টারে দিয়ে দিচ্ছে। এবার এই বিষয়ে সোচ্চার হয়েছে আর এস এস এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। খোদ সংগঠনের ত্রিপুরা শাখার নেতৃত্বরাই শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথাগুলি জানিয়েছেন।

তাদের জাতীয় সম্মেলনে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংগঠন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই বিষয়ে আরো জোরদার প্রচার চালানো হবে। কোচিং সেন্টারগুলির বিরুদ্ধে সঠিক আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা। গত ২৯ থেকে ৩১ মে ছত্তিশগড়ের রায়পুরে এ বি ভি পি র জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে ৪টি প্রস্তাব গৃহীত হয়। এর মধ্যে বেসরকারি কোচিং সেন্টারগুলির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়েছে। শনিবার আগরতলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ত। এ বি ভি পি র আরো দাবি ইউ জি সি এর গাইড লাইন মেনে বিশ্ব বিদ্যালয়গুলিতে যেন অবিলম্বে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়। রাজ্যের কলেজগুলিতে শীঘ্রই ২০৭ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর নিয়োগেরও দাবি জানায় এই ছাত্রসংগঠন। সাংবাদিক সম্মেলনে আরো জানানো হয় আগামী ১৫ থেকে ১৮ মে খয়েরপুরের সেবাধামে এ বি ভি পি র প্রদেশ অভ্যাস পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।

রাজ্যে বর্তমানে তাদের সদস্য সংখ্যা ৬৬ হাজারের উপর। এই বছর এক লক্ষের উপর সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *