আগরতলা :বাজাজ অটো কোম্পানির বিরুদ্ধে আজ পূর্ব আগরতলা থানায় লিখিত আকারে অভিযোগ জমা করলো বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চের অনুমোদিত মজদুর মনিটরিং সেল এর কর্মকর্তারা।
বাজাজ অটো ডিলার ও তার মালিক, কর্মচারী ও এজেন্টদের দ্বারা প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩ এর অধীনে সংঘটিত আমলযোগ্য অপরাধ সমূহের জন্য একটি এফ আর আই করল রুজু করলো বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চের অনুমোদিত মজদুর মনিটরিং সেল। শহরে বিনা পারমিটে চারশ উপর অটো রিক্সা বিক্রি করা হয়েছে বলে বাজাজ অটো কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে উক্ত সংগঠন।
সরকারের অনুমতি ছাড়াই এতগুলো অটো বিক্রি নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন মজদুর মনিটরিং সেল। এই বিষয়ে বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চের অনুভূতি তো মজদুর মনিটরিং সেলের নেতৃত্ব বিপ্লব কর জানান,কাশি পুরের বাজাজ শোরুম থেকে বেআইনিভাবে ৪০০ উপর অটো বিক্রি করা হয়েছে।এই অটো গুলোর পারমিট নেই। যে কারণে শহরের রাস্তায় যানজট বেশি হচ্ছে। এই ঘটনায় বাজাজ শোরুম এর বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
তিনি দাবি করেছেন, দ্রুত শো রুমটি বন্ধ না করলে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে। রাজ্য সরকার শহরের অটোর পারমিট দেওয়া বন্ধ রেখেছে। অথচ কাশিপুর বাজাজ শোরুম থেকে একের পর এক অটো রিক্সা বিনা পার মিটে বিক্রি হচ্ছে। এগুলো আবার শহরের রাস্তায় যাত্রী পরিষেবাও দিচ্ছে। যে কারণে শহরে যানজট বাড়ছে। সরকারের এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন মজদুর মনিটরিং সেল এর পক্ষে বিপ্লব কর। তিনি আরো জানান,বাজাজ শোরুম রাজ্যের বহু জায়গায় কাউন্টার খুলে রেখেছে। এগুলো থেকে বেআইনিভাবে অটো বিক্রি চলছে।
দ্রুত এই ক্ষেত্রে প্রশাসনকে নজর দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি।চন্দ্রপুর এর বাজাজ শোরুম থেকে অটো রিক্সা ক্রয়ের প্রথম থেকেই বৈধ যানবাহন পারমিট ও রেজিস্ট্রেশন এর ব্যবস্থা করে দেবেন এই মর্মে ডিলার, তার মালিক এবং তাদের কর্মচারী ও এজেন্ট গন অটো চালকদের কে অসৎ উদ্দেশ্য প্ররোচিত করে এবং প্রতিশ্রুতি দেন যে তাদের কাছ থেকে অটো রিক্সা ক্রয় করলে তারাই পারমিট রেজিস্ট্রেশন এর ব্যবস্থা করে দেবেন।
কিন্তু পরবর্তী সময় দেখা যায় অটো চালকরা তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে যখন অটো ক্রয় করল তখন আর পারমিট এবং রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে না বাজাজ অটো কোম্পানি।তাই এর বিরুদ্ধে বিবেকানন্দ বিচার মঞ্চের অনুমোদিত মজদুর মনিটরিং সেল এবং ভারতীয় মজদুর প্রাইভেট ট্রান্সপোর্ট মহাসংঘ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
