আগরতলা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য নেতৃত্বে ক্রমশ সামনের দিকে এগিয়ে চলছে ভারত। বিকাশের নতুন যাত্রা আমাদের দেখিয়েছেন যশস্বী প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী মোদির কার্যকাল ভারতবর্ষের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। রাজ্যেও বামফ্রন্টের জমানায় খুন, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, দুর্নীতি, কেলেঙ্কারি প্রত্যক্ষ করেছে মানুষ। আর এখন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বে একটা সংস্কারের সরকার চলছে।

সেবা, সুশাসন ও গরীব কল্যাণের ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ দক্ষিণ জেলার শান্তিরবাজারে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। সভায় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কার্যকাল আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। এর মূল্যায়ন করাও প্রয়োজন। কারণ ২০১৪ সালের আগে দেশের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল। অতীতের পাতা উল্টালে দেখা যায় পাকিস্তান থেকে ভারতে বারবার আক্রমণ, সংসদ ভবন হামলা, মুম্বাই হামলা, উত্তর পূর্বাঞ্চলে আক্রমণ শাণিত হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ২০১৪ সালের ২৬ মে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি শপথ নেন। তারপর থেকে ভারতবর্ষকে ক্রমশ সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন তিনি। আমাদের ইতিহাস, পরম্পরা, ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনছেন তিনি। সেই সঙ্গে আধুনিক ভারতের রূপরেখা আমাদের সামনে এনেছেন। ২০২২ থেকে ২০৪৭ পর্যন্ত অমৃতকালের সূচনা করেছেন তিনি। আগামীতে দেশ কোনদিকে যাবে সেই রোডম্যাপ তৈরি করে দিয়েছেন তিনি। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রায় ১৩ বছর শাসন করেছেন মোদি। সেই সময়ে গুজরাটকে একটা মডেল রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন। আজ ভারতবর্ষ বিকাশের লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে। সারা পৃথিবী ভারতবর্ষের দিকে তাকিয়ে আছে। সেবা, সুশাসন ও গরীব কল্যাণের কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলছেন আমার কাছে চারটি জাত – গরীব, কৃষক, যুব ও মহিলা। তাদের উন্নয়ন হলেই দেশের উন্নয়ন হবে। এই হচ্ছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দেশের জন্য নিজেকে সমর্পন করেছেন। বিকাশের এক নতুন যাত্রা আমাদের দেখিয়েছেন যশস্বী প্রধানমন্ত্রী। উনার কার্যকাল ভারতবর্ষের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বিকশিত ভারত ও আত্মনির্ভর ভারত এর সংকল্প করেছেন তিনি। দেশের একটা শক্তিশালী ভিত (ফাউন্ডেশন) গড়ে দিয়েছেন তিনি। যা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর নাম লেখা থাকবে। গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমাদের দেশ সুরক্ষিত রয়েছে। আর্থিক ব্যবস্থা মজবুত করার পাশাপাশি প্রযুক্তিকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে ২৬ জন নিরীহ পর্যটককে বেছে বেছে নৃশংস হত্যার জবাব অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছিলেন এই ঘটনায় জড়িতদের কাউকে ছাড়া হবে না।

তিনি বলেছেন বাণিজ্য ও সন্ত্রাসবাদ কখনো একসঙ্গে চলতে পারে না। মাত্র ২৫ মিনিটে পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। ডাঃ সাহা বলেন, মানুষের জন্য কাজ করা আমাদের দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সরকার দায়বদ্ধতার সরকার। এই সরকার সকলকে নিয়ে চলতে চায়।

বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগে আমরা শুধু দুর্নীতি, কেলেঙ্কারি প্রত্যক্ষ করেছি। আগে শুধু দুর্নীতি, কেলেঙ্কারি ও তোষণের রাজনীতি ছিল। কিন্তু মোদি সরকার এবং আমাদের ত্রিপুরা সরকার উন্নয়ন, উদ্ভাবন ও উদ্বোধনের কথা বলে। আজও প্রায় ১৯টির মতো প্রকল্প উদ্বোধন করেছি। আগে এখানে বামফ্রন্টের জমানায় ৬৯ জনের মতো খুন করা হয়েছে। আর ২০১৮ সালে আমাদের সরকার আসার পর একটাও এধরণের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড এখানে কেউ দেখাতে পারবে না। আগে দুর্নীতি, কেলেঙ্কারি, খুন, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগের সরকার আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। এখন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বে রাজ্যে একটা সংস্কারের সরকার চলছে।

এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক বিপিন দেববর্মা, দক্ষিণ জেলার জেলা সভাপতি দীপায়ন চৌধুরী, বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, বিধায়ক স্বপ্না মজুমদার, দক্ষিণ জেলার সভাধিপতি দীপক দত্ত, এডিসি সদস্য সঞ্জীব রিয়াং, কংজং মগ সহ দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *