আগরতলা।।বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের উপর নির্যাতন চলছেই। ইউনুস সরকার আসার পর নির্যাতন আরো বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ।
খাগড়াছড়িতে সেই দেশের সংখ্যা গুরুদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়ে সংখ্যালঘুরা ত্রিপুরায় পালিয়ে আসেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে আমতলী থানাধীন বিশ্বাস পাড়া এলাকা থেকে ১২ জন বাংলাদেশীকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে দুই জন মহিলা । ধৃতরা জানায় ত্রিপুরায় চিকিৎসা করাতে এসেছেন তারা। তাদের সবাই বাংলাদেশি জনজাতি চাকমা এবং মগ সম্প্রদায়ের। গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের জালে তুলে। যদিও পুলিশ এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ ।
এই অভিযানে ছিলেন আমতলী থানা, শ্রীনগর থানা ও এডি নগর থানার আধিকারিক সহ এসডিপিও শঙ্কর দাস।বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা ও রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ি জানজাতিদের উপর বিভিন্ন ভাবে হামলা হুজ্জতি চালাচ্ছে সেই দেশের সংখ্যাগুরুদের একটি অংশ। লংঘিত হচ্ছে মানবাধিকার। তাই এখন আদিবাসীরাও জীবন বাঁচাতে ত্রিপুরায় পালিয়ে আসছেন। তবে এই চাকমা এবং মগ সম্প্রদায়ের লোকেদের পালিয়ে আসার পিছনে প্রকৃত কারণ কি তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সীমান্তে বি এস এফের নজরদারি থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ কোনো ভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। ইউনুস সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অকথ্য নির্যাতন চলছে।
তাই জীবন বাঁচাতে নয়তো কাজের সন্ধানে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা ভারতে আশ্রয় নিচ্ছেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংখ্যাগুরু মুসলিমরাও ভারতে অনুপ্রবেশ করছে। যা দেশের নিরাপত্তার জন্যে অশনি সংকেত বলে মনে করেন সচেতন নাগরিকরা।