আগরতলা: রাজ্যের কৃষকদের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে নালকাটায় পিপিপি মডেলে একটি নতুন ফল প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করছে রাজ্য কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর।
শনিবার উনকোটি জেলার কুমারঘাটের গীতাঞ্জলি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত আনারস উৎসবে এই তথ্য জানান কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
মন্ত্রী জানান, গত সাত বছরে রাজ্য থেকে ৭৩.১৫ মেট্রিক টন আনারস দুবাই, ওমান ও কাতারে রপ্তানি হয়েছে। এছাড়াও, আমেরিকায় ৪.৪০ মেট্রিক টন কাঁঠাল, বাংলাদেশে ১৭ মেট্রিক টন পানপাতা রপ্তানি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর কুইন আনারসকে রাজ্য ফল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর জিআই ট্যাগ আছে। এখন লক্ষ্য, উৎপাদন ও বাজার আরও বিস্তৃত করা। এই কারণেই এরকম উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে।
রাজ্যে বর্তমানে ৩.৬৫ লক্ষ কানি জমিতে ফল চাষ হয়, যার মধ্যে ৭৪ হাজার কানি জমিতে আনারস চাষ হয়। ধলাই, উনকোটি ও উত্তর জেলায় কিউ জাতের আনারস ৫৩,৭০০ কানি জমিতে ও কুইন জাতের আনারস ২২,০০০ কানি জমিতে চাষ হয়। ২০১৮ সালে আনারসের দাম ছিল ৮–৯ টাকা, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা বা তার বেশি।
মন্ত্রী জানান ডোনার মন্ত্রক কুইন আনারসকে একটি গ্লোবাল ব্র্যান্ড করতে কাজ করছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে দুটি বৈঠক হয়েছে। ১৩২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণের পরিকল্পনাও চলছে।
তিনি আরও বলেন সিদল শুটকি, সবরী কলা সহ একাধিক পণ্যের জন্য জিআই ট্যাগের জন্য রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। কৃষকদের আয় দ্বিগুন হলে তবেই রাজ্যের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।
সেদিনই মন্ত্রী কুমারঘাটের একটি আনারস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রও পরিদর্শন করেন।
এই অনুষ্ঠানে বিধায়ক ভগবান দাস, পশুপালন ও মৎস্যমন্ত্রী সুধাংশু দাস সহ একাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।