আগরতলা।।দক্ষিণ ও গোমতী জেলা খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ম্ভর। ধলাই জেলা কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও অচিরেই স্বয়ম্ভর হয়ে যাবে।
বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানের প্রচারের শেষে বললেন কৃষিমন্ত্রী রতন লাল নাথ। কৃষিতে রাজ্যের সাফল্য এবং কৃষকদের কি কি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন তিনি। রাজ্যে ৬৫ লক্ষ কানি জমি রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ লক্ষ কানি হচ্ছে চাষ যোগ্য। তাই ফসলের উৎপাদন বাড়াতে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করতে হবে। কি ভাবে সেই আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ হবে ? তা বুঝতে সারা দেশে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান করা হয়। রাজ্যে এই অভিযানের সাফল্য তুলে ধরলেন কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
তিনি বলেন, কৃষির উৎপাদন বাড়ানো, উৎপাদন ব্যায় কমানো, উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা, বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ এর ব্যবস্থা করা, সৈষ্য বৈচিত্র ও খাদ্য পক্রিয়াকারণ এবং ন্যাচারাল ও অর্গানিক ফার্মিং এ কৃষকদের উৎসাহিত করা। মোট এই ৬ টি বিষয়ের উপর গুরুত্ত দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে প্রতি হেক্টর জমিতে যদি ৫০০ কেজি উৎপাদন বাড়ানো যায় তাহলেই ত্রিপুরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন হবে বলে জানালেন কৃষিমন্ত্রী। শুক্রবার তিনি নাগীছড়াস্থিত হর্টিকালচার দপ্তরের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে মন্ত্রী আরো বলেন, কৃষকদের এখন ফসল বীমা যোজনা, মৃত্তিকা পরীক্ষা, জলবায়ুর উপর ভিত্তি করে বীজ প্রদান, কৃষক সম্মান নিধি সহ বিভিন্ন প্রকল্পে সাহায্য সহযোগিতা করা হচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তিতে চাষের উপর গুরুত্ব দেন তিনি। প্রয়োজনে ড্রোন এর সাহায্য নেওয়ার কথা বলেন। কৃষি যন্ত্রাংশ ক্রয়ের ক্ষেত্রে সাবসিডি দিচ্ছে সরকার। সরকারি উদ্যোগে নারিকেল, তরমুজ , পেঁয়াজ চাষ করলে কৃষকদের অর্থ সাহায্য করা হয় বলে জানান তিনি। কৃষি মন্ত্রী জানান, গত ২৯ মে থেকে ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৮৭৩ টি বৈঠক হয়েছে কৃষকদের সঙ্গে। প্রতিটি বৈঠকে দুইশো জনের উপর কৃষক ছিলেন। এখন পর্যন্ত ১ লক্ষ ৯৫ হাজার কৃষকের কাছে পৌঁছানো গেছে বলে জানান তিনি।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের ৮ জেলা থেকে বাছাই করা ৯ জন চাষিকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষি ও উদ্যান দপ্তরের আধিকারিকদের পাশাপাশি সফল কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।