আগরতলা: লেখাপড়া করার জন্য সবাইকে উৎসাহিত করতে হবে। নবসাক্ষর নাগরিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও আত্মনির্ভরতার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। ২০৪৭ এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিকশিত ভারত গড়ে তোলার জন্য দেশে সাক্ষরতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের তৃতীয় রাজ্য হিসেবে ত্রিপুরাকে পূর্ণ সাক্ষর রাজ্যের ঘোষণা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ত্রিপুরা রাজ্যে সাক্ষরতার হার আরো বৃদ্ধি করার জন্য নজর দিতে হবে শিক্ষা দপ্তরকে।
আজ আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত পূর্ণ সাক্ষর রাজ্য ঘোষণা এবং উল্লাস নব ভারত সাক্ষরতা কার্যক্রম অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, আজ সত্যিই আমাদের জন্য একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। দেশের তৃতীয় রাজ্য হিসেবে ত্রিপুরা আজ পূর্ণ সাক্ষর রাজ্যের মর্যাদা পেয়েছে। এটা আমাদের জন্য খুবই গর্বের বিষয় এবং একটা মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এরআগে মিজোরাম ও গোয়া পূর্ণ সাক্ষর রাজ্য হিসেবে ছিল। আর শিক্ষা দপ্তর সহ যারা এই অভিযানকে বাস্তবায়ন করতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন তাদের সকলকে অভিনন্দন জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবসময় বলছেন সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস এর কথা। আজ সেই ছবি আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। আমাদের লক্ষ্য সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত সরকারি জনমুখী প্রকল্পের সুফল পৌঁছে দেওয়া।
বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বলেন, এই অভিযানকে সফল করতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক রূপরেখা দিয়েছে এবং যথাসাধ্য সহযোগিতা করেছে। এজন্য কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রককে ধন্যবাদ জানাই। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১৯৬১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ত্রিপুরায় সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ২০.২৪%। এরপর ১৯৯১ এ ৬০.৪৪%। ২০০১ এ ৭৩.১৯% এবং ২০১১ সালে ৮৭.২২%। উল্লাস কার্যক্রমের মাধ্যমে নবভারত সাক্ষরতা কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে ২০২৩ – ২৪ অর্থ সমীক্ষায় এই হার ছিল ৯৩.৭%। পরবর্তী সময়ে ২০২৪ – ২৫ অর্থবর্ষে ৯৫.৬% হয়। তবে আরো যথাযথ সমীক্ষা হলে এই হার আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই এই অভিযানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে শিক্ষা দপ্তরকে আরো কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, একটা বাড়িতে মা বাবা পড়াশুনা না জানলে তারা চান ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করুক। আর এখন শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা চাইছে নিজেদের মা বাবাও পড়াশুনা জানুক। তাই পড়াশুনা সকলের ক্ষেত্রে আবশ্যক। এক্ষেত্রে যারা এখনো শিক্ষার আলো থেকে দূরে রয়েছেন তাদের সহায়তা প্রদানের জন্য শিক্ষা দপ্তরকে এগিয়ে আসতে হবে। সাক্ষরতা অভিযান একটা সামাজিক আন্দোলন। এটা শুধু একা কোন শিক্ষক বা প্রশিক্ষক দিয়ে সম্ভব নয়, সব মানুষের সহায়তা প্রয়োজন। ২০২৩ সালের ২৯ জুলাই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী উল্লাস ১ লোগো উন্মোচন করেন। এর শ্লোগান ছিল – জন জন সাক্ষর। মূলত, ৫টি মূল উপাদানের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে উল্লাস কার্যক্রম।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, লেখাপড়া শিখতে পারার মধ্যে একটা আনন্দের বিষয় চলে আসে। উল্লাস কার্যক্রমের মাধ্যমে রাজ্যের প্রতিটি ব্লক ও গ্রামে প্রায় ৯৪৩টি সামাজিক চেতনা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রায় ২,২২৮ জনের মতো স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষক ও শিক্ষিকা এই কাজে যুক্ত রয়েছেন।
এছাড়াও স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরাও এই কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। ত্রিপুরা এখন সবদিক দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলছে। জিএসডিপি ও মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে ত্রিপুরা। ছোট রাজ্য হলেও সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে ত্রিপুরা। পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। ডাঃ সাহা জানান, ২০২৪ এর ১৭ মার্চ ফাউন্ডেশন্যাল লিটারেসি এন্ড নিউমেরেসি এসেসমেন্ট টেস্টে ৪,৫৯৭ জন পরীক্ষা দেয়। এরমধ্যে উত্তীর্ণ হয় ৩,৫৮১ জন। একই বছরের ২৯ ডিসেম্বর এই পরীক্ষায় ১৪,১৭৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ১৩,৯০৯ জন। আর এবছর মার্চে ৫,৮৯৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ৫,৮১৯ জন।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের (এডাল্ট এডুকেশন) অধিকর্তা প্রীতি মীনা, শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, শিক্ষা অধিকর্তা এন সি শর্মা, এসসিইআরটির অধিকর্তা এল ডার্লং সহ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকগণ।
**ত্রিপুরা দেশের মধ্যে তৃতীয় পূর্ণ সাক্ষর রাজ্য, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর**ত্রিপুরায় সাক্ষরতার হার আরো বৃদ্ধি করতে নজর দিতে হবে শিক্ষা দপ্তরকে: মুখ্যমন্ত্রী** আগরতলা, ২৩ জুন: লেখাপড়া করার জন্য সবাইকে উৎসাহিত করতে হবে। নবসাক্ষর নাগরিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও আত্মনির্ভরতার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। ২০৪৭ এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিকশিত ভারত গড়ে তোলার জন্য দেশে সাক্ষরতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের তৃতীয় রাজ্য হিসেবে ত্রিপুরাকে পূর্ণ সাক্ষর রাজ্যের ঘোষণা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ত্রিপুরা রাজ্যে সাক্ষরতার হার আরো বৃদ্ধি করার জন্য নজর দিতে হবে শিক্ষা দপ্তরকে।
আজ আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত পূর্ণ সাক্ষর রাজ্য ঘোষণা এবং উল্লাস নব ভারত সাক্ষরতা কার্যক্রম অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, আজ সত্যিই আমাদের জন্য একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। দেশের তৃতীয় রাজ্য হিসেবে ত্রিপুরা আজ পূর্ণ সাক্ষর রাজ্যের মর্যাদা পেয়েছে। এটা আমাদের জন্য খুবই গর্বের বিষয় এবং একটা মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এরআগে মিজোরাম ও গোয়া পূর্ণ সাক্ষর রাজ্য হিসেবে ছিল। আর শিক্ষা দপ্তর সহ যারা এই অভিযানকে বাস্তবায়ন করতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন তাদের সকলকে অভিনন্দন জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সবসময় বলছেন সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস এর কথা। আজ সেই ছবি আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। আমাদের লক্ষ্য সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত সরকারি জনমুখী প্রকল্পের সুফল পৌঁছে দেওয়া।
বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বলেন, এই অভিযানকে সফল করতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক রূপরেখা দিয়েছে এবং যথাসাধ্য সহযোগিতা করেছে। এজন্য কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রককে ধন্যবাদ জানাই। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১৯৬১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ত্রিপুরায় সাক্ষরতার হার ছিল মাত্র ২০.২৪%। এরপর ১৯৯১ এ ৬০.৪৪%। ২০০১ এ ৭৩.১৯% এবং ২০১১ সালে ৮৭.২২%। উল্লাস কার্যক্রমের মাধ্যমে নবভারত সাক্ষরতা কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে ২০২৩ – ২৪ অর্থ সমীক্ষায় এই হার ছিল ৯৩.৭%। পরবর্তী সময়ে ২০২৪ – ২৫ অর্থবর্ষে ৯৫.৬% হয়। তবে আরো যথাযথ সমীক্ষা হলে এই হার আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই এই অভিযানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে শিক্ষা দপ্তরকে আরো কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, একটা বাড়িতে মা বাবা পড়াশুনা না জানলে তারা চান ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করুক। আর এখন শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা চাইছে নিজেদের মা বাবাও পড়াশুনা জানুক। তাই পড়াশুনা সকলের ক্ষেত্রে আবশ্যক। এক্ষেত্রে যারা এখনো শিক্ষার আলো থেকে দূরে রয়েছেন তাদের সহায়তা প্রদানের জন্য শিক্ষা দপ্তরকে এগিয়ে আসতে হবে। সাক্ষরতা অভিযান একটা সামাজিক আন্দোলন। এটা শুধু একা কোন শিক্ষক বা প্রশিক্ষক দিয়ে সম্ভব নয়, সব মানুষের সহায়তা প্রয়োজন। ২০২৩ সালের ২৯ জুলাই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী উল্লাস ১ লোগো উন্মোচন করেন। এর শ্লোগান ছিল – জন জন সাক্ষর। মূলত, ৫টি মূল উপাদানের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে উল্লাস কার্যক্রম।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, লেখাপড়া শিখতে পারার মধ্যে একটা আনন্দের বিষয় চলে আসে। উল্লাস কার্যক্রমের মাধ্যমে রাজ্যের প্রতিটি ব্লক ও গ্রামে প্রায় ৯৪৩টি সামাজিক চেতনা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রায় ২,২২৮ জনের মতো স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষক ও শিক্ষিকা এই কাজে যুক্ত রয়েছেন।এছাড়াও স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরাও এই কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। ত্রিপুরা এখন সবদিক দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলছে। জিএসডিপি ও মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে উত্তর পূর্বাঞ্চলের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে ত্রিপুরা। ছোট রাজ্য হলেও সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে ত্রিপুরা। পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। ডাঃ সাহা জানান, ২০২৪ এর ১৭ মার্চ ফাউন্ডেশন্যাল লিটারেসি এন্ড নিউমেরেসি এসেসমেন্ট টেস্টে ৪,৫৯৭ জন পরীক্ষা দেয়। এরমধ্যে উত্তীর্ণ হয় ৩,৫৮১ জন। একই বছরের ২৯ ডিসেম্বর এই পরীক্ষায় ১৪,১৭৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ১৩,৯০৯ জন। আর এবছর মার্চে ৫,৮৯৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ৫,৮১৯ জন।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের (এডাল্ট এডুকেশন) অধিকর্তা প্রীতি মীনা, শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, শিক্ষা অধিকর্তা এন সি শর্মা, এসসিইআরটির অধিকর্তা এল ডার্লং সহ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকগণ।