আগরতলা।।তদন্ত প্রক্রিয়ায় সহায়তা ও ন্যায়বিচার প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ওডন্টোলজি। তদন্তের কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের পেশাগত দক্ষতাকে আরও শক্তিশালী করার গুরুত্ব রয়েছে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো উন্নয়ন করাও খুবই প্রয়োজন।

রবিবার গুজরাটের গান্ধীনগরে ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি’তে (এনএফএসইউ) আয়োজিত ওডন্টোলজি (দন্তবিজ্ঞান) সম্পর্কিত ২য় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। ত্রিপুরায় ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটিতেও ফরেনসিক ওডন্টোলজিতে একটি ২ বছরের এমএসসি কোর্স চালু করার আহ্বান রাখেন মুখ্যমন্ত্রী।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, আজকের এই কার্যক্রমে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি খুবই খুশি ও আনন্দিত। আমি আজ এখানে ভারত এবং বিদেশ থেকে আগত বিশিষ্ট প্রতিনিধিদের সম্বোধন করার সুযোগ পেয়েছি। পরিবর্তিত সময়ের সাথে সাথে অপরাধের ধরণও পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই তদন্তের কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের পেশাগত দক্ষতাকে আরও শক্তিশালী করা এবং প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো উন্নয়ন করা খুবই প্রয়োজন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওডোনটোলজি, ফরেনসিক বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা হিসেবে তদন্তকে সহায়তা এবং ন্যায়বিচার প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই বিষয়ে আমি গান্ধীনগর এনএফএসইউ’র উপাচার্যকে ত্রিপুরাস্থিত এনএফএসইউ’তে ফরেনসিক ওডন্টোলজিতে একটি ২ বছরের এমএসসি কোর্স চালু করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি, যা উত্তর-পূর্বের সুযোগ ও দক্ষতার প্রসারণে সহায়ক ভূমিকা গ্রহণ করবে।

ত্রিপুরা সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা দেশের চতুর্থতম ক্ষুদ্র রাজ্য। এর জনসংখ্যা প্রায় ৪০ লক্ষ। ত্রিপুরায় অনেকগুলি সুন্দর সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। আমি সবাইকে ত্রিপুরা ঘুরে দেখার আহ্বান জানাই। ২০১৮ সালে ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার আসার আগে ত্রিপুরায় মেডিকেল কোর্সের জন্য আসন সংখ্যা সীমিত ছিল। এখন ৩টি মেডিকেল কলেজ হয়েছে। এমবিবিএস আসন সংখ্যা প্রায় ৪০০টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঐকান্তিক সহযোগিতায় ৮/৯ মাসের মধ্যে ত্রিপুরায় একটি সুন্দর সরকারি ডেন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যার আসন সংখ্যা ৬৩। এর পাশাপাশি বিএসসি নার্সিং কলেজ সহ আরো অনেক নার্সিং প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। ত্রিপুরায় একটি সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি সহ ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি, ন্যাশনাল ল ইউনিভার্সিটি, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি, স্টেট ইউনিভার্সিটি, ট্রিপল আইটি, ত্রিপুরা ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি ও অনেক বেসরকারি ইউনিভার্সিটি রয়েছে। এনসিআরবি’র রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের ২৮টি রাজ্যের মধ্যে আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থার দিক দিয়ে নিচের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ত্রিপুরা।

এটা দেশের মধ্যে অন্যতম একটি শান্তিপূর্ণ রাজ্য। এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পদ্মশ্রী সম্মান প্রাপক ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর ড. জে এম ব্যাস, গুজরাটের ডিজিপি (সিআইডি ক্রাইম) মনোজ কুমার আগরওয়াল সহ বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিনিধিগণ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *