আগরতলা: জোর পূর্বক বা নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত করা অন্যায়। বীর বাল দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে আত্মত্যাগ ও ধর্মের প্রতি বিশ্বাস জাগ্রত করা যায়।
আজ আগরতলার চানমারিস্থিত গুরুদুয়ারা সাহিবে আয়োজিত বীর বাল দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, বীর বাল দিবসের মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে ধর্ম যার যার কাছে। আমাকে জোর করে বা নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত করা অন্যায়। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে বিভিন্ন জায়গায় সেটা হচ্ছে। কাশ্মীরে পণ্ডিতদের উপর অমানুষিক নির্যাতন হয়েছে। দেশভাগের আগে ছিল একরকম। আর দেশভাগের পরে পূর্ব পাকিস্তান হলো। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ হলো। পশ্চিম পাকিস্তানেও যে পরিমাণে হিন্দু, শিখ বা অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছিল তাদের জনসংখ্যা এখন অনেক কমে গেছে। এবিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়। পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়, নিবন্ধ হয়। বীর বাল দিবসে এসম্পর্কে মনে করতে হয়। আর এর বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে কিভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায় এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে এবিষয়ে আওয়াজ তোলা প্রয়োজন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে প্রথম ‘বীর বাল দিবস’ পালনের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই থেকেই প্রতি বছর ২৬ ডিসেম্বর দেশজুড়ে এই দিনটি বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হয়। দিনটি পালনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে যাতে আগামী প্রজন্ম সাহস, আত্মত্যাগ ও নৈতিকতার মূল্যবোধ থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে। এর মাধ্যমে যুবদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি এবং কিভাবে বলিদান দিতে হয় ও নিজের প্রতি কতটুকু আস্থা থাকলে, ধর্মের প্রতি, দেশের প্রতি আস্থা থাকলে, দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটা শিক্ষণীয় বিষয় অর্জন করা যায়। এর পাশাপাশি এই বীর বাল দিবস শুধু দেখা বা ইতিহাস শোনার জন্য নয়, এর মাধ্যমে আত্মত্যাগ ও ধর্মের প্রতি বিশ্বাসকে জাগিয়ে তোলা যায়। এই বীর বাল দিবস থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।
ডাঃ সাহা বলেন, যদি ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের যথাযথ শিক্ষা দেওয়া যায়, তবে তারমধ্যেও অনেক কিছু পাওয়া যাবে যেটা বড় বড় ব্যক্তিদেরও থাকে না। আজ বীর বাল দিবসে শিখ সম্প্রদায় সহ ত্রিপুরা ও ভারতবাসীকে হার্দিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি। আমাদের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশাত্মবোধক চিন্তাভাবনা নিয়ে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
এদিন এই কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার সহ শিখ ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।
