আগরতলা : জিনিস পরিষ্কার করার নাম করে দুই ভুরি ওজনের স্বর্ণের চেইন নিয়ে চম্পট দিল অপরিচিত দুই যুবক। ঘটনা কমলাসাগর বিধানসভার মধুপুর জামচৌমুহনী এলাকায়। পরবর্তী সময়ে সেই মহিলা বুঝতে পেরে মধুপুর থানায় দারস্ত হয় এবং অভিযুক্ত দুই যুবকের কঠোর শাস্তি দাবি রাখলেন।
ঘটনার বিবরনে জানা যায় মধুপুর জামচৌমুহনী এলাকার উত্তম দেবনাথদের বাড়িতে দুজন যুবক প্রবেশ করে।ঐ সময় উত্তম দেবনাথ বাড়িতে ছিলেন না। উত্তম দেবনাথের স্ত্রী অনিতা দেবনাথ প্রথমে ভেবেছিল হয়তো এরা ফাইন্যান্স থেকে এসেছে। পরবর্তী সময়ে জিজ্ঞেস করলে দুই যুবক উত্তর দিলেন পিতল কিংবা রুপোর জিনিস পরিষ্কার করার জন্য এসেছে। যদি আপনার বাড়িতে থাকে তাহলে দিতে পারেন। এমন সময় অনিতা দেবনাথ বাড়ি থেকে তার মেয়ের রুপোর জিনিস এবং ঠাকুর ঘরের একটি পিতলের থালা পরিষ্কার করতে দেয়। তখন সেই দুই যুবক একটি পাউডার মেখে তা পরিষ্কার করে দেখায়।
এমন সময় অনিতা দেবনাথের বিশ্বাস হয়ে যায় হয়তো সবকিছু ঠিকঠাক থাকবে। এমন সময় অনিতা দেবনাথের গলায় ছিল একটি স্বর্ণের চেইন। তখন সেই দুই যুবক অনিতা দেবনাথকে বলল সেই স্বর্ণের চেইনটিও পাউডার দিয়ে পরিষ্কার করে দিতে পারবে। তখন সেই মহিলা চেইনটি খুলে তার হাতে দিলে কিছু লিকুইড জাতীয় একটি পাউডার সেই মহিলার হাতে দেয় মুহূর্তের মধ্যে অনিতা দেবনাথকে ভেলকি দেখিয়ে একটি কাগজের প্যাকেটে স্বর্ণের চেইনটি ঢুকিয়ে নেয়। তখনো অনিতা দেবনাথ বুজে উঠতে পারেনি এরা যে চোরির উদ্দেশ্যে এসেছে।
পরবর্তী সময়ে প্যাকেটে সেই জিনিসটা রাখার পর অনিতা দেবনাথ জিজ্ঞেস করলে যুবকরা জানান আধ ঘন্টা পর তা খুলতে হবে। এই ফাঁকে অনিতা দেবনাথের মুখে এবং চোখের মধ্যে পাউডার জাতীয় একটি লিকুইড গন্ধ ছড়িয়ে দিলে মুহুর্তের মধ্যেই ভেলকিতে পড়ে যায় এবং সেই দুই যুবক সেখান থেকে স্বর্ণের চেইনটি নিয়ে চম্পট দেয়। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড পর অনিতা দেবনাথের চোখের ভেলকি চলে গেলে রাস্তায় ছুটে আসে চিৎকার করতে শুরু করে। কিন্তু তার পূর্বেই সেই দুই যুবক জিনিসটি নিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয়।
কিন্তু সেই দুই যুবক বুঝতে উঠতে পারেনি উত্তম দেবনাথের বাড়িতে যে প্রচুর পরিমাণে সিসি ক্যামেরা রয়েছে পরবর্তী সময়ে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ নিয়ে মধুপুর থানা দারস্থ হয় এবং সেই দুই অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি দাবি রাখলেন। অনিতা দেবনাথ জানান তার স্বর্ণের চেইনটির মূল্য ২ লক্ষ টাকার অধিক হবে।
এভাবেই গোটা রাজ্যের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এসে গ্রামের সহজ সরল মহিলাদের বোকা বানিয়ে একটা অংশের যুবক স্বর্ণের চেইন কিংবা টাকা ছিনিয়ে নিয়ে। যাচ্ছে তবে প্রশাসন যদি সঠিকভাবে তদন্ত চালায় সিসি ক্যামেরা ফুটেজ নিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে মনে বলে অনেকেই মনে করছে।
