আগরতলা।।মানুষের সমস্যায় পাশে দাঁড়ানোই হচ্ছে প্রকৃত ধর্ম। একে অপরের প্রতি ভালোবাসা, প্রীতি এটাই হচ্ছে ধর্মের মূল বক্তব্য। রাজ্যের বর্তমান সরকারও মানুষের মৌলিক সমস্যা সমাধানে সদা সচেষ্ট।

মঙ্গলবার কের চৌমুনীস্থিত শিব-কালী মন্দিরের ৩২তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে দুঃস্থদের মধ্যে বস্তুদান অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে প্রধান অতিথির ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা) মানিক সাহা একথা বলেন। তিনি বলেন, নাস্তিকতার অবসান হয়ে এখন আস্তিকতার পরিবেশ সমাজে পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রের সরকার দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য রক্ষায় এবং পুনরুদ্ধারে দায়িত্বশীল ভূমিকা গ্রহণ করে চলছে। রাজ্যের বর্তমান সরকারও সেই দিশায় কাজ করে চলছে। উদয়পুরে মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

সেই সঙ্গে জাতি-জনজাতিদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি রক্ষায়ও আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার শান্তি সম্প্রতি রক্ষায় বদ্ধপরিকর। শান্তি সম্প্রীতি রক্ষায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ইতিমধ্যেই অনেকগুলি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অগ্রগতিকে তরান্বিত করেছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন আজ সারা দেশে সমাদৃত। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই কের চৌমুহনীতে এক সময় কের পুজা হত। পরবর্তীকালে এখানে মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। সেই অর্থে এই মন্দিরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী আজকের এই কল্যাণকামী উদ্যোগের জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে মুখ্যমন্ত্রী মন্দিরে প্রার্থনা করেন। অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রী দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্রদান করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার, বিশিষ্ট আইনজীবী কল্যাণ ভট্টাচার্য্য, বিশিষ্ট সাংবাদিক দেবাশিষ ভট্টাচার্য্য প্রমুখ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *