আগরতলা: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর পেশ করা বাজেট যুব, মহিলা, কৃষক, গরীব মানুষের বাজেট। এই বাজেট সবকা সাথ সবকা বিকাশের লক্ষ্যকে পূরণ করতে সহায়ক হবে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর পেশ করা সাধারণ বাজেট নিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।


উল্লেখ্য, শনিবার পেশ করা কেন্দ্রীয় বাজেটে আয়কর নিয়ে বড় ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ঘোষণায় তিনি জানিয়েছেন, ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনও কর দিতে হবে না। নতুন কর কাঠামোয় মিলবে এই সুবিধা। নতুন কর কাঠামোতে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার বেতনভোগী কর্মীদের বছরে ১২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়ে করের পরিমাণ শূন্য রাখা হয়েছে।


এদিন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পেশ করা এবারের বাজেট খুবই ভালো হয়েছে। আমার মতে এটা ইউনিক বাজেট হয়েছে। বিশেষ করে যুবদের জন্য, মহিলাদের জন্য। গরীবদের জন্যও এটা খুবই ভালো বাজেট। এমন ভালো মানের বাজেট আগে কখনো দেখতে পাই নি। কৃষকদের জন্যও খুবই ভালো হয়েছে এই বাজেট। বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বের সঙ্গে নজর দেওয়া হয়েছে বাজেটে। তুলো উৎপাদন এবং তার গুনমানের ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

আর যুবদের বিকাশে আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। এজন্য স্টার্ট আপের মাধ্যমে যুবদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ও তাদের উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনাকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই সামগ্রিক বিষয়ের উপরও নজর দেওয়া হয়েছে বাজেটে। শুধু সরকারি চাকরি দিয়ে সবাইকে খুশি করা সম্ভব নয়। তাই স্টার্ট আপে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামীদিনে মেডিকেলে যাতে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এজন্য জোর দেওয়া হয়েছে। উড়ান স্কিমেও বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। এই স্কিমে সারা দেশে প্রায় ১২২টি নতুন ডেস্টিনেশন রাখা হয়েছে। ট্যুরিজম ডেস্টিনেশনের জন্য নতুন করে প্রায় ৫০টি স্পটে পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে। যাতে পর্যটকদের আরো আকর্ষিত করা যায়। এর পাশাপাশি এই বাজেটে জিম ব্যাংকের উপর বাজেটে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামীদিনে খাদ্য নিরাপত্তার উপর গুরুত্ব রাখা হয়েছে।


বাজেট প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, এবারের বাজেটে বিহারের জন্য গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্ট এর সংস্থান রাখা হয়েছে। আর ৩০টি জীবনদায়ী ঔষধে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হল ১২ লাখ পর্যন্ত আয়করে ছাড় দেওয়া হয়েছে যা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্য খুবই বড় বিষয়। বিভিন্ন বিষয় এবারের বাজেটে এসেছে। পরিকাঠামো উন্নয়ন, ঐতিহ্যবাহী স্থানের উন্নয়ন, নিউক্লিয়ার এনার্জি ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

আমি মনে করি এই বাজেট খুবই জনমুখী হয়েছে। এজন্য আমি সর্বপ্রথমে যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাই। আমি ধন্যবাদ জানাই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে এত সুন্দর বাজেট পেশ করার জন্য। এটা সবকা সাথ সবকা বিকাশের লক্ষ্যকে পূরণ করতে সহায়ক হবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *