আগরতলা।। রাজ্যের জাতি জনজাতি সকল অংশের মানুষ মিলে একসাথে থাকা এবং রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তিলাভ করার লক্ষ্যে কের পুজো করা হয়। সকলের মঙ্গল কামনার পাশাপাশি সৌভ্রাতৃত্ববোধ অটুট রাখা এই পুজোর অন্যতম লক্ষ্য।
আজ আগরতলার উজ্জ্বয়ন্ত প্যালেস চত্বরে চিরাচরিত রীতি অনুযায়ী আয়োজিত রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী কের পুজোর আশীর্বাদ নিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, আজ ঐতিহ্যবাহী কের পুজো উপলক্ষ্যে আমি সমস্ত ত্রিপুরাবাসীকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি। আমরা সবাই জানি চৌদ্দ দেবতা বাড়িতে অনুষ্ঠিত খার্চি পুজোর ১৪ দিন বাদে এই কের পুজোর আয়োজন এখানে হয়ে থাকে। মহারাজ ত্রিলোচনের সময়কাল থেকে এই ঐতিহ্যবাহী পুজোর সূচনা হয়। এখনো এই পুজো প্রথা মেনে যথাযথভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং রাজবাড়ির সামনে এই পুজো হয়ে থাকে। আগে পুরো প্যালেস কম্পাউন্ড এই কের পুজোর ভেতরে থাকতো। কের পুজো উপলক্ষে মুলি বাঁশকে প্রতিকৃতি করে এখানে পুজো হয়। চৌদ্দ দেবতা বাড়িতে পুজোর্চনা করা চন্তাইরাও (পুরোহিত) পুজো দিতে এখানে এসেছেন। আমরা তাদের আশীর্বাদ নিয়েছি।
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, কের পুজো আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে জাতি জনজাতি সকল অংশের মানুষ মিলে একসাথে থাকা এবং রোগব্যাধি থেকে মুক্তিলাভ করা। এই রাজ্যের উন্নয়ন এবং রাজ্যের সার্বিক মঙ্গল কামনায় এই পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে। অশুভ শক্তি যাতে কোন প্রকার ক্ষতি করতে না পারে ও মহামারির প্রাদুর্ভাব যাতে না ঘটে সেজন্য প্রথা মেনে এই পুজো করা হয়। আমাদের মধ্যে যাতে সৌভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে উঠে তারজন্যই কের পুজোর আয়োজন। এই পুজো শুধু রাজবাড়ির সামনে হয় না, গ্রামে গঞ্জেও অনেক ত্রিপুরী ও রিয়াং সম্প্রদায়ের মানুষ এবং অন্যান্য জনজাতি অংশের মানুষ এই পুজো করে থাকেন। কের পুজো উপলক্ষে রাজ্যের সকল অংশের মানুষেরও মঙ্গল কামনা করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
এদিন কের পুজো উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়, রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসক ড. বিশাল কুমার সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ।