কৈলাসহর।।বুধবার ঊনকোটি জেলার সার্কিট হাউসে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর, তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তর এবং মৎস্য দপ্তরের কাজের অগ্রগতি ও আগামীর কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।
রাজ্যের প্রাণিসম্পদ, মৎস্য ও তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাসের পৌরহিত্যে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাধিপতি অমলেন্দু দাস, জেলা শাসক ও সমাহর্তা দিলীপ কুমার চাকমা, তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা জয়ন্ত দে, প্রাণিসম্পদ বিকাশ ও মৎস্য দপ্তরের অধিকর্তা নিরজ কুমার চঞ্চল, কৈলাসহর মহকুমা শাসক প্রদীপ সরকার, কুমারঘাটের মহকুমা শাসক এন এস চাকমা, সহকারী সভাধিপতি সন্তোষ ধর, পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন চপলা দেবরায়, পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ বদরুজ্জামান এবং বিভিন্ন সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকগণ।প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত প্রতিকূল পরিবেশ সত্ত্বেও সকল স্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিতি এই বৈঠককে কার্যকর ও সার্থক করে তোলে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, “২৫-২৬ অর্থবছরে তিনটি দপ্তরের কাজ কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে, তার পর্যালোচনা এবং আগামী দিনের রূপরেখা নির্ধারণ করতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। আগামী দিনে মিশন মুডে কাজ করার লক্ষ্যেই আমরা এগোচ্ছি।”মন্ত্রী আরও বলেন,“মাছ ও মাংসের চাহিদা ও যোগানের সামগ্রিক ভারসাম্য, এবং কৃষিপ্রধান জেলার আর্থিক উন্নয়নে এই দপ্তরগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই দিকগুলো মাথায় রেখেই আমরা একসাথে পরিকল্পনা করছি।”এছাড়া তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তর সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার সময় মন্ত্রী জানান,“তপশিলি পরিবারের ছেলে-মেয়েরা যাতে যথাযথভাবে স্কলারশিপ সুবিধা পান এবং তার জন্য কোনও জটিলতা না থাকে, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। সঠিক তালিকা ও সময়মতো অর্থ ছাড় করা নিয়েও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই বৈঠক থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয় আগামী প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সময়ানুগ পদক্ষেপ নিতে। সার্বিকভাবে, জেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দপ্তরগুলোর ভূমিকা আরও সুসংগঠিত ও কার্যকর করার বার্তা দিয়ে শেষ হয় বৈঠক।