আগরতল : অঙ্গদান একটি মহৎ উদ্যোগ, যা অন্যের জীবন বাঁচাতে পারে। একজন মানুষের অঙ্গদানের মাধ্যমে ৮ থেকে ৯টি মানুষের জীবন বাঁচতে পারে। তাই অঙ্গদানের মতো মহৎ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।
আজ ১৫তম জাতীয় অঙ্গদান দিবস উপলক্ষে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে পতাকা নেড়ে ওয়াকথনের সূচনা করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, অঙ্গদানের মাধ্যমে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের জীবন বাঁচানোর চেয়ে বড় মানবসেবা আর কিছুই হতে পারেনা। অঙ্গদানের মাধ্যমে মানুষের সেই সেবা প্রদানের সুযোগ রয়েছে। একজন মানুষ মৃত্যুর পরেও তার কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হার্ট ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গদান করে অন্য মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অঙ্গদানের ক্ষেত্রে আমাদের দেশ কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। মানুষ অঙ্গদানের ক্ষেত্রে এগিয়ে না আসাই এর অন্যতম কারণ।
তাই অঙ্গদানের বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়নের ফলে রাজ্যেই এখন কিডনি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়াও রাজ্য সরকার লিভার প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এই লক্ষ্যেই ২০২৩ সালে স্টেট অর্গান এন্ড টিস্যু ট্রান্সপ্ল্যান্ট অর্গানাইজেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। অঙ্গদানের ক্ষেত্রে মানুষকে এগিয়ে আসার জন্য মুখ্যমন্ত্রী আহ্বান জানান।
আজকের এই মহৎ দিনে সকল অঙ্গদাতাদের ও তাদের পরিবারের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী শ্রদ্ধা জানান। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জিবিপি হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ডা. শঙ্কর চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, আগরতলা সরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপ কুমার সাহা প্রমুখ।