আগরতলা: জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তির বাতাবরণ ও আর্থ সামাজিক উন্নতি থমকে দিতে পহেলগাঁওতে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা।
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বর্বরোচিত জঙ্গি হামলায় নিরীহ পর্যটকদের হতাহতের ঘটনায় এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে হতাহত পর্যটকদের পরিজনদের সমবেদনা জানান মুখ্যমন্ত্রী। এক বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যেভাবে জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তির বাতাবরণ কায়েম করেছেন, সেটা দেখে সন্ত্রাসবাদীরা পহেলগাঁওয়ে এধরণের বর্বরোচিত আক্রমণ করেছে।
৩৭০ ও ৩৫ এ ধারা জম্মু ও কাশ্মীরে বিলোপ হওয়ায় এখন সেখানে প্রচুর সংখ্যায় পর্যটকের সমাগম হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদীরা মনে করছে এখন সেখানে সামগ্রিক পরিস্থিতি ভালো হয়েছে এবং আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটেছে।
মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই কাশ্মীরকে ভূস্বর্গ হিসেবে জানি। সারা দেশ থেকে পর্যটকরা জম্মু ও কাশ্মীর ভ্রমণে যান। আর সেটা মেনে নিতে না পেরে এধরণের বর্বরোচিত আক্রমণ সংঘটিত করেছে জঙ্গিরা। তারা ভেবেছে এধরণের কাপুরুষোচিত কর্মকান্ডের মাধ্যমে সেখানকার শান্তির বাতাবরণ ও আর্থ সামাজিক উন্নতি এবং মানুষের খুশি, আনন্দ থমকে দেওয়া যাবে। তাই এধরণের জঘন্য আক্রমণ চালিয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি এধরণের বর্বরোচিত ও কাপুরুষোচিত আক্রমণের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। যাদের উপর এই আক্রমণ করা হয়েছে তারা সবাই নিরীহ পর্যটক ছিলেন। তাদেরকে যেভাবে বুলেটের নিশানা করে খুন করা হয়েছে আমি তীব্র ভাষায় নিন্দা জানাই। আমার পক্ষ থেকে এবং সমগ্র ত্রিপুরার মানুষের পক্ষ থেকে সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
আমি মনে করি আমাদের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই ঘটনায় যোগ্য জবাব দেবেন। ইতিমধ্যে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কাউকে রেহাই না দেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। আমার পুরো বিশ্বাস রয়েছে যে কিছুদিনের মধ্যে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।